দেশের একমাত্র এই মন্দিরেই কৃষ্ণের সঙ্গে আছেন মীরাবাঈ!

বিষ কা পেয়ালা রাণাজী ভেজা পীবত মীরা হাঁসি রে।

মীরা কে প্রভূ গিরিধারী নাগর সহজ মিলে

অবিনাশী রে॥

যে সুর কানে এলে আর ঘরে ফেরা যায় না সেই সুরেই প্রাণ সঁপেছিলেন মীরাবাঈ। আকুল হয়ে নিজিয়ে বিলিয়ে দিয়েছিলেন কৃষ্ণপ্রেমে। গিরিধারীর প্রতি প্রেম তিনি নিবেদন করেছিলেন কবিতা আর সুরের আখরে। কৃষ্ণসাধকদের কাছে রাধা আর মীরা তাই এক। দুজনেই চেয়েছিলেন শ্যামকে। তাই তাঁদের তফাৎ নেই কোনও

কিন্তু পৃথিবীর সর্বত্রই কৃষ্ণের পাশে জায়গা শুধু রাধার। তাঁরা অভেদ্য। কিন্তু এই ভারতবর্ষেই এমন  একটিমাত্র মন্দির আছে যেখানে কৃষ্ণের পাশে দেখা যায় মীরাকে।

IMG-20231214-WA0015

রাজস্থানের আমের জেলায় অবস্থিত বিখ্যাত জগৎ শিরোমণি মন্দিরে। মন্দিরটি মহারাজা মানসিংহের প্রথম স্ত্রী মহারাণী কনকাবতী তাঁর পুত্র জগৎ সিংহের স্মরণে তৈরি করেছিলেন। মন্দিরটি নির্মাণের জন্য প্রায় ১১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। মন্দিরের নির্মাণ কাজ ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় এবং ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে সমাপ্ত হয়।

মেরের উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত পাহাড়ের সাদা ও কালো মার্বেল ব্যবহার করে এই মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। দু’তলার স্তম্ভগুলির সূক্ষ্ম কারুকার্য, মন্দিরটির অন্যতম আকর্ষণ। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই মন্দিরে রাখা কৃষ্ণের প্রতিমাকেই এককালে মীরাবাঈ পুজো করতেন।

IMG-20231214-WA0013

কথিত আছে, মুঘল সৈন্যরা কৃষ্ণের এই প্রতিমাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমেরের তৎকালীন শাসকরা সেই মূর্তিকে রক্ষা করে। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দূরদূরান্ত থেকে কৃষ্ণের ও মীরার অনুগামীরা এখানে ভিড় জমান। এছাড়াও এই মন্দিরের মীরার সাথে কৃষ্ণের মূর্তি একটি অনন্য আকর্ষণ হওয়ায়, সারা বছর এই মন্দিরে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...