দীপাবলির ২১ দিন পর মা বুলবুলচণ্ডিকে বিসর্জন দেওয়া হল, বহু ভক্তের সমাগম হয় এই বিশেষ দিনে

দুর্গা পুজো শেষ, কালী পুজো শেষ। আসছে বছর আবার আসবে মা। কিন্তু আজ বলব মালদার হবিবপুরের কালীপুজো নিয়ে কথা। সেখানে ২১ দিন পর মায়ের বিসর্জন হল।

এখানে দীপাবলির দিন অন্যান্য কালীপুজোর মতোই একসাথে শুরু হয়েছিল মায়ের পুজো। কিন্তু সব জায়গায় বিসর্জন হয়ে গেলেও এখানে হয়েনি। ২১ দিন ধরে মন্দিরেই ছিল মা। তারপর ২২ দিনের দিন, অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর প্রতিমা নিরঞ্জন ও বিসর্জন হল মালদার হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডি বাজার সর্বজনীনের পুজোর।

maxresdefaultqeqeqe

এই ২১ দিন মাকে দেখতে প্রতিদিন ভীড় জমান বহু ভক্তরা। সাথে এই এলাকায় পুজোর সাথে মেলাও বসে। তাই এলাকা ছাড়াও প্রচুর লোকের সমাগম হয়। এছাড়া ভীড়ের আরও এক আকর্ষণ হল প্রতিমার আকার পর্বতপ্রমাণ। এখানকার কালী প্রতিমার উচ্চতা ৪২ ফুট।

এছাড়া আরও জানা যায় যে মন্দিরেই তৈরি করা হয় প্রতিমা এবং মজবুত করে তৈরি করা হয় মায়ের কাঠামো।

এছাড়া এখানে কালী প্রতিমার বিসর্জনও অত্যন্ত আকর্ষণীয়। বিসর্জন দেখতে এবং দড়ি টানতে প্রচুর ভক্তরা আসেন এই বিশেষ দিনে। এখানে আদিম পদ্ধতিতে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় ভাসানোর জন্য। অর্থাৎ কোনও চাকা ছাড়া শুধু কাঠামোর নীচে বাঁশ ফেলে দেওয়া হয়। জগন্নাথ দেবের রথের রশি যেমন টানা হয় সেইভাবেই বুলবুলচণ্ডি মায়ের রথের দড়ি টানেন ভক্তরা। সেই টানেই বুলবুলচণ্ডি মা এগিয়ে চলেন।   

মন্দির থেকে আধ কিলোমিটার দূরত্বে একটি জলাশয় রয়েছে। সেখানে বিসর্জন দেওয়া হয় মাকে। ৪২ ফুটের কালীমূর্তিকে ভক্তরাই টেনে নিয়ে যায় জলাশয় অব্দি।

প্রতিবছর এই একই রীতিতে বিসর্জন হয় কালী মায়ের। 

এই বিষয়ে পুজো কমিটির সভাপতি প্রশান্ত কুমার রায় এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে এখানকার পুজো, মেলা, প্রতিমা সবকিছুটাই একটু অন্যরকম ভাবে হয়। এবার পুজোর পর ২১ দিন মন্দিরে ছিল প্রতিমা। তাই পুজা উপলক্ষে এতদিন মেলা চলছিল রমরমিয়ে এবং পুজোর ২২ দিন পর বিসর্জন দেওয়া হল বুলবুলচণ্ডি মাকে।  

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...