ফ্যাটি লিভার হলে খ্যাদ্যাভ্যাসে কী কী বদল আনা জরুরি?

ফ্যাটি লিভার কেন হয়? কোন উপসর্গ দেখে সচেতন হবেন? ফ্যাটি লিভার হলে খ্যাদ্যাভ্যাসে কী কী বদল আনা জরুরি? কোন খাবারে আছে রোগমুক্তির পথ? বিস্তারিত জানালেন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডাঃ ইন্দ্রনীল সাহা (Dr Indraneel Saha, Gastroenterologist)

ডাঃ ইন্দ্রনীল সাহা জানিয়েছেন, ফ্যাটি লিভার মানে লিভারের মধ্যে ফ্যাট জমা। অতিরিক্ত চর্বি যদি আমাদের লিভারের কোষের ভিতর জমে তাহলে লিভার সেল আস্তে আস্তে ফুলে ওঠে, গোটা লিভারটাই আস্তে আস্তে বড় হয়, মেডিকেল পরিভাষায় সেটাকেই ফ্যাটি লিভার বলা হয়।

ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার একাধিক কারণ আছে তার মধ্যে প্রধানতম ডায়েট আর লাইফস্টাইল। যারা অত্যাধিক ফ্যাটি ফুড, ফাস্ট ফুড, চিজ জাতীয় খাবার যে সমস্ত খাবার থেকে ওবেসিটির সমস্যা আসে সেখান থেকে লিভারে চর্বি জমে বেশি। এটাই সবচেয়ে সাধারণ কারণ। হেপাটাইটিস বি, সি থেকেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে। সিরোসিস অফ লিভারের প্রথম দিকেও দেখা যায়। এই রোগের একাধিক লক্ষণ আছে।

ক্লান্তি, ডানদিকে ব্যথা, লিভারের সমস্যা, হজমের গন্ডগোল, ওজন বৃদ্ধি এগুলোই প্রাথমিক লক্ষণ। ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসায় প্রথমেই স্ক্যান করে দেখা হয় সমস্যা কোন পর্যায়ে আছে। স্টেজ ফোর মানে সিরোসিস। হেপাটাইটিস বা অন্য রোগ থাকলে তার চিকিৎসার প্রয়োজন। ফ্যাটি লিভারে বাড়তি ওজন কমাতে হবে, সুস্থ জীবনযাত্রা গড়তে হবে। দিনে অন্তত এক ঘন্টা করে ব্যায়াম করতে হবে। হাঁটতে হবে। মোটামুটি ৮ হাজার পা হাঁটতে হবে। ব্যাডমিন্টন, সাঁতারের অভ্যাস করতে হবে। কোল্ড ড্রিংকস, ফাস্ট ফুড একেবারে বাদ। বাড়িতে রান্না খাবার খেতে হবে। কার্বোহাইড্রেড জাতীয় খাবার, ভাত, আটার রুটির বদলে সবজি, ফলে জোর দিতে হবে। বিএমআই কন্ট্রোল করতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...