চোখের স্ট্রোক কেন হয়?

চোখের স্ট্রোক কেন হয়? আই স্ট্রোকের লক্ষণ কী কী? ক্ষণিকের দৃষ্টিহীনতা আর চোখের স্ট্রোকের মধ্যে পার্থক্য কীভাবে বোঝা যাবে? কোন বয়সের মানুষ এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন? সাবধান হবেন কীভাবে? পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুদীপ্ত দাস (Dr Sudipta Das, Ophthalmologist)

ডাঃ সুদীপ্ত দাস জানিয়েছেন, চোখের স্ট্রোকের প্রথম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। দ্বিতীয় কারণ ডায়াবেটিস। তৃতীয় কারণ হাই কোলেস্টেরল। চোখের স্ট্রোকের জন্য এই তিন কারণই মূল। এছাড়াও আরও একাধিক কারণ আছে। সঙ্গে যুক্ত হয় অস্বাভাবিক মানসিক চাপ আর স্ট্রেস। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এসবই হয়ে উঠতে পারে রিস্ক ফ্যাক্টর। কোলেস্টেরলকে লোকে গুরুত্ব দেয় না হয়ত কিন্তু এক্ষেত্রে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।

আই স্ট্রোক ২ ধরনের হয়। চোখের দুটো খুব গুরুত্বপূর্ণ রক্তনালী আছে। একটি প্রধান শিরা আছে। তার চারটি উপশিরা। তার যদি কোনও একটি শাখায় সমস্যা হয় তাহলে রোগীর দৃষ্টি শক্তির ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি সম্পূর্ণ ব্লকেজ দেখা দেয় তাহলে দৃষ্টি শক্তিতে সাময়িকভাবে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আংশিক দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়া, মাথা ব্যথা, চোখ ব্যথা, চোখ লাল হওয়া এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

TIA- তে দৃষ্টিশক্তি খুব সাময়িক সময়ের জন্য চলে যায়। কয়েক মিনিটের জন্যও হতে পারে। তারপর আবার ফিরেও আসে। কোনও কোনও সময় রক্ত চলাচলে অসুবিধা দেখা দিতে পারে। আই স্ট্রোকের লক্ষণ এর চেয়ে একটু আলাদা। এক্ষেত্রে সমস্যা স্থায়ী। চোখে স্ট্রোক চোখের একটা ছোট অংশে হলে চিকিৎসা সহজ হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আগেকার দিনে যখন এই সমস্যা হত তখন চিকিৎসার সুযোগ কম ছিল। স্ট্রোক হলে ব্লকেজ হয়। তারপর রেটিনাতে কিছু কেমিক্যাল রিক্রিয়েশন হয়। ব্লাড ভেসেলস থেকে ফ্লুইড বের হয়। সেই কেমিক্যাল ট্রান্সমিটারকে ব্লক করা হয়। নাহলে রেটিনাতে জল জমে যায়। দৃষ্টি কমে আসে। চোখে স্ট্রোক হলে যত দ্রুত সম্ভব তার চিকিৎসা শুরু করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু হবে তত তাড়াতাড়ি বিপদ কমবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...