শীতের স্নানে গরম জল চাই, জেনে নিন এই নিয়ম

দক্ষিণে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’, আর তার জেরেই শীতের বৃষ্টিতে ভিজছে বাংলা। মেঘ কুয়াশা আর বৃষ্টিতে কলকাতা যেন দার্জিলিং। আলমারি, ওয়াড্রব থেকে রাতারাতি বেরিয়ে পড়েছে গরম পোশাক। চাই সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল! আর চাই গরম জল। অবধারিতভাবে স্নানের জন্য।  শীত জুড়ে তার প্রয়োজন। শীতে স্নান এক কঠিন ব্যাপার। সকালের স্নান মানেই গিজার অন। কেউ কেউ আবার জল বসিয়ে রাখেন রোদের তাতে। মেট্রো শহরে ক্রমশ সে দৃশ্য দুর্লভ হয়ে উঠলেও শহর থেকে একটু দূরে আজও দেখা যায় উঠোন কিংবা বারান্দায় রোদের মাঝে বসানো এক বালতি জল। বেলা হলে তাতেই হবে স্নান।

কিন্তু গরম জলে স্নান করলেও তার কিছু নিয়ম আছে।

 জল যেন খুব গরম না হয়। হতে হবে কুসুম গরম। খুব গরম জল দিয়ে স্নান করলে শরীরের চামড়ায় প্রভাব পড়ে। ত্বক হয়ে পড়ে খসখসে। তাই স্নান করতে হবে তেল মেখে। স্নানের পর ব্যবহার করতে হবে ময়েশ্চারাইজার।

গরম জলে স্নানের সময় ময়েশ্চারাইজার সোপ বা কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করলে ত্বক স্বাভাবিক থাকে। ব্যবহার করতে পারেন বডিওয়াশ। আবার রোজ গরম জল মাথায় দিলে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ। তাই শীতের মরসুমে মাঝে মাঝে চুলে অয়েল ম্যাসাজ করলে চুল থাকবে ঝরঝরে।

শীতের দিনে দুপুরে স্নান করলে অনেকের কাছেই শীতের কনকনে ভাব কিছুটা কম অনুভূত হয়। যাঁরা শরীরচর্চা করেন, তাঁদের ঠান্ডা জলে স্নান এড়িয়ে যাওয়া ভাল। কেননা বেশি ঠান্ডা জলে পেশি সংকুচিত হয়ে যায়। শরীরচর্চার পর গরম জলে স্নান করলে পেশি ঠিক থাকবে। এ সময়ে স্টিম বাথ বেশ আরামদায়ক। শীতে নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দেয়। বাতাসের ধুলাবালু শরীরে লেগে থাকলেও ত্বকের ক্ষতি হয়। স্টিম বাথ নিলে ত্বক থাকবে মোলায়েম কোমল।

নিয়মিত গরম জলে স্নানের অভ্যাসের ফলে ধীরে ধীরে নানা হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বাড়তে পারে ত্বকের নানা সমস্যাও। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁদের প্রতিদিন সকাল ১০টার মধ্যে স্নান সেরে নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই সামান্য উষ্ণ জলে স্নান করেন সারা বছর।

শীতের স্নানে জল গরম নাকি ঠাণ্ডা কোনটা ভাল? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন শরীর বুঝে যার যেমন জলে স্বাচ্ছন্দ্য সেই জলই বেছে নিন স্নানের জন্য। শীতকালে কনকনে ঠাণ্ডা জলে স্নান সর্দি-কাশি, টনসিলের সমস্যা, বাতের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। স্নায়ুর সমস্যাও দেখা দিতে পারে। স্নানের জলের সঙ্গে সামান্য গরম জল মিশিয়ে সেটির তাপমাত্রা স্বাভাবিক করে নেওয়া ভাল।

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...