আজ মকর সংক্রান্তি। গঙ্গাসাগরে আজ প্রচুর ভক্তের সমাগম। ভীড় উপচে পড়ছে সমুদ্র সৈকতের সামনে। ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরে এসে পুণ্যস্নান সেরে নিজেদের মনস্কামনা পূরণ করতে শুরু করে দিয়েছে।
জানা গিয়েছে যে সাগরে স্নানের মাহেন্দ্রক্ষণ সকাল ৯টা ১৩ থেকে ছিল এবং চলবে আজ রাত ১২টা ১৩ পর্যন্ত। তবে, এই হাড়হীম করা শীতে গতকাল মাঝরাত থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুণ্যস্নান।
সাগরে স্নানের পাশাপাশি, এদিন পুণ্যার্থীরা কপিল মুনির আশ্রমে গিয়ে পুজো দেবেন। তাই মেলা চত্ত্বর থেকে শুরু করে আশপাশের এলাকাগুলিকে নিরাপত্তার কড়া নজরে রাখা হয়েছে। পুরো মেলা জুড়ে একাধিক পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া শুধুমাত্র স্থল নয়, আকাশপথ এবং জলপথে চলছে জোরদার নজরদারি।
উপকূলরক্ষী বাহিনী, এনডিআরএফ, সিভিল ডিফেন্স–সহ প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এছাড়া ড্রোন উড়িয়ে, স্পিড বোট ও হোভার ক্রাফটে চড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও নৌ-সেনা।
সোমবার সকাল থেকে কনকনে ঠান্ডা। মকর সংক্রান্তির সকাল শুরুই হয়েছে ঘন কুয়াশা দিয়ে। দেখা যাচ্ছে শীত উপেক্ষা করেই সাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়ছে। রাজ্যের এক মন্ত্রী জানিয়েছেন যে গতকাল থেকেই মেলায় পৌঁছে গিয়েছেন প্রায় ৪৫ লক্ষ পুণ্যার্থী। এখন সংখ্যাটা ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই সাগরে ডুব দিচ্ছেন বহু পুণ্যার্থীরা।
সারা বাংলায় চলছে হাড়-কাঁপানো শীত। উত্তরবঙ্গের গ্যাংটককে পিছনে ফেলেছে বাংলার পুরুলিয়া, বীরভূম। যেখানে গ্যাংটকে তাপমাত্রা ৭.৭ সেখানে পুরুলিয়ায় পারদ নেমেছে ৭.১-এ। অবিশ্বাস্য ব্যপার!
অন্যদিকে, দার্জিলিঙের তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীনিকেতন ৭.৪। তবে, কালিম্পঙকে হার মানিয়েছে পানাগড়, বর্ধমান, বাঁকুড়া। কালিম্পঙের তাপমাত্রা ৯.৫, অন্যদিকে, বর্ধমান ও বাঁকুড়া পারদ নেমেছে ৮.৮ এবং পানাগড় ৮.৯।