ঐতিহ্যবাহী আন্দুল রাজবাড়ী

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার নানা ঐতিহাসিক স্থানের আমরা নাম শুনেছি,সেখানে বেড়াতেও গেছি। কিন্তু  এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে ভ্রমণ করা তো দূরের কথা, নামই শুনিনি। উদাহরণ হিসাবে আন্দুল রাজবাড়ীর নাম বোধহয় অনায়াসেই করা যায়। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার একটি ছোট মফঃস্বল শহর হল আন্দুল।কথিত আছে , মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব নীলাচলে গমন করেছিলেন এই আন্দুল এলাকার  মধ্যে দিয়ে। সমগ্র এলাকার মানুষ নগর সংকীর্তন করে এতই উন্মত্ত হয় যে, সমগ্র এলাকা জুড়ে ধূলার অর্থাৎ পদধূলির  আধিক্য থেকে জায়গাটির নাম আনন্দধূলি হয়ে যায় সেদিন থেকে। ঘটনাটি মজার তাতে সন্দেহ নেই, তারপর লোকের মুখে মুখে হয়ে যায় আন্দুল এই নামটির প্রচলন।

যাইহোক এবার আসল প্রসঙ্গে ফেরা যাক- সেটা হল আন্দুল রাজবাড়ীর কথা। যতদূর এপ্রসঙ্গে জানা যায় তা হল- পলাশীর যুদ্ধের পর পরাজিত সিরাজউদ্দৌল্লার বাহিনীর এক নিম্নপদস্থ সেনা পলায়ন করে এই আন্দুলে উপস্থিত হয়। তারপর তৈরী করে এই বিশাল রাজবাড়ী। তবে সুবিশাল ক্ষেত্রে মতামত এই যে ঊনিশ ও বিংশ শতাব্দীতে এক বর্ধিষ্ণু জমিদার কর্তৃক এই রাজবাড়ী প্রস্তুত হয়। মতামত যাইহোক এই রাজবাড়ীর প্রাচীনত্ব নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। রাজবাড়ীর জমিদার রাজনারয়ণ বসু অন্নপূর্ণা মন্দিরটি তৈরী করেন ১৮৪৫ খ্রীষ্টাব্দে। শতাব্দী প্রাচীন একটি যুদ্ধ-কামান ও রয়েছে এখানে- যা প্রত্যেক বছর দূর্গা পূজার সময় দর্শনার্থীদের দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। সমগ্র আন্দুলবাসীর কাছে এই রাজবাড়ী এক গর্বের বিষয়বস্তু- যা কিনা রাজ্য সরকার কর্তৃক 'Heritage site' হিসাবে ঘোষিত হয়েছে।

You can share this post!

...

Loading...