চর্মরোগ নিরাময়ে কীভাবে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা?

১০ এপ্রিল বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস। হোমিওপ্যাথির প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডরিখ স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের জন্মদিনটি বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। হ্যানিম্যান ১৭৫৫ সালে জার্মানির সাক্সনী রাজ্যের ড্রেসড্রেন শহরের কাছে মিশেনে জন্মগ্রহণ করেন। চিকিৎসার এই বিশেষ শাখাটির জন্ম তাঁর হাতেই।

চর্মরোগ নিরাময়ে কীভাবে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা? আসন্ন বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবসের বিশেষ পর্বে জানালেন ডাঃ অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় (Anindita Mukherjee - B.H.M.S (Cal), Homoeopathic Practitioner)

চর্মরোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি প্রসঙ্গে ডাঃ অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ত্বক মানবদেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। মেরুদন্ডী প্রাণীর বহিরাঙ্গিক একটি অংশ যা প্রকৃতপক্ষে একটি নরম আবরণ এবং দেহকে আবৃত করে রাখে। বিজাতীয় পদার্থ, রাসায়নিক, সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মি তো আছেই সঙ্গে মানসিক চাপ, অ্যাংজাইটি ইত্যাদিও ত্বককে সমস্যায় ফেলে। ব্রণ, ফুসকুড়ি এমনকি সোরিও সিসের মতো সমস্যাও এভাবেই আসে। এই সমস্ত রোগ থেকে বাঁচতে সবার আগে দরকার প্রাথমিক স্বাস্থ্য সচেতনতা। তার মধ্যে সবচেয়ে জরুরী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা যেমন দরকার সঙ্গে সঙ্গে নিজের চারপাশও পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার।

হোমিওপ্যাথি চর্মরোগের চিকিৎসায় বড় ভরসা। এই চিকিৎসা পদ্ধতির সবচেয়ে বড় ব্যাপার এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলে, কিন্তু তাতে রোগের উপশম হয় একেবারে ভিতর থেকে। যাতে পরে ফের পুরনো রোগ ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে না।

বয়ঃসন্ধিতে ব্রণর চিকিৎসা চেনা সমস্যা। ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই এক সমস্যায় ভোগে। শরীর বৃদ্ধির সময় নানা পরিবর্তন আসে। হরমোনের ভারসাম্যতেও বদল ঘটে। তার কারণে ত্বকে ব্রণ ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দেখা দেয়। হোমিওপ্যাথিতে ব্রণর ধরণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়। খুব গরমে র‍্যাশ বের হয়। হোমিওপ্যাথিতে তারও সমাধান আছে। লাল-কালো ছোপ, ঘামাচি, র‍্যাশ সব মিলিয়ে ত্বক সংক্রমিত হয়।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সময়সাপেক্ষ। সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে খুব বেশি সময় না লাগলেও ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য ধৈর্য্য রাখতেই হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...