অতিরিক্ত শরীরচর্চার নেশা হার্টের পক্ষে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?

জিমে ওয়ার্ক-আউট বা শরীরচর্চা করার সময় কেন হার্ট অ্যাটাক হয়? অতিরিক্ত শরীরচর্চার নেশা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ? কোন কোন লক্ষণ দেখে সতর্ক হবেন? হার্ট সুস্থ রাখতে কেমন হওয়া উচিত  প্রতিদিনের ডায়েট প্ল্যান? পরামর্শ দিলেন ডায়েটিশিয়ান ডাঃ সৌভিক চক্রবর্তী (Souvik Chakraborty, Dietician)

আমরা জিমে যাই ওজন ঝরাতে। এছাড়া বডি ফিটনেস বজায় রাখাও জিমে যাওয়ার একটা বড় কারণ। ডাঃ সৌভিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মানুষ তাড়াহুড়ো করে জিম শুরু করে। সঠিক গাইড লাইন মেনে চলা, বডি চেক আপ অনেক ক্ষেত্রেই এসব যথাযথাভাবে মানা হয় না। আমরা হয়ত জানিই না শরীরে আন্ডার লাইন কিছু ফ্যাক্টর আছে যা আমাদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়াতে পারে।

যেমন অনেক সময় করোনারি হার্ট সমস্যা থাকে, যেমন সিঁড়িতে উঠতে গেলে বুকে ব্যথা লাগে, শ্বাস কষ্ট হয়, অনেক সময় পা ফোলা থাকে। আগাম পরীক্ষা করলে এই সমস্যাগুলি সামনে আসে। তাই জিমে যাওয়ার আগে যদি সঠিক মেডিকেল পরীক্ষা হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ ও ডায়েটিশিয়ানের গাইডলাইন নেওয়া হয় এবং সেই মেনে যদি জিম করি তাহলে এই প্রবণতা অনেকটা কমে। সিঁড়ি ভাঙা, বুকে চাপ, দুর্বলতা, রাতে ঘুম কম হওয়া এসব কারণকে অনেক সময় ফ্যাটিক সমস্যা ভেবে জিমে যোগ দেয় মানুষ তাতে আমাদের ভাল হতে গিয়ে খারাপ হয়। তা বলে এমনটা নয় যে শরীরচর্চা করা উচিত নয়।

দেশে ৩০ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক হয় শরীর চর্চা না করার কারণেই। জিমে যাওয়ার আগে কিছু প্রোটোকল মানা উচিত। প্রথমেই জিমে যাওয়ার আগে ব্লাড টেস্ট বা ইসিজি করে নেওয়া দরকার। জিমে ঘাম ঝরাতে গিয়ে ট্রেড মিল, ওয়েট লিফটিং অনেকেই শুরু থেকেই করতে শুরু করে। তাতে হার্ট পাম্পিং বেড়ে যায়, অতিরিক্ত চাপ পড়ে হৃদযন্ত্রে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু হার্টে সমস্যা তৈরির সম্ভাবনা প্রবল।

অনেকেই কার্বোহাইড্রেড ছেড়ে পুরোপুরি প্রোটিন আর ফ্যাটের ভাগ থাকবে। যা চেনা নামে কিটো ডায়েট।  কোন গাইড ছাড়াই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করে। ইন্টারনেট থেকে ডায়েট চার্ট বানায়। এটা ক্ষতিকর। শরীর চর্চার আগে আমাদের কিছু ক্যালরির প্রয়োজন হয় যে ক্যালরি পুড়িয়ে আমরা পেশির কার্য ক্ষমতা বাড়াই সেটা না পেলে হৃদযন্ত্রে চাপ বাড়ে। অনেক জিমে যায় মাসলের জন্য। কেউ ওজন বাড়াতে বা কমাতে। সেই অনুযায়ী ডায়েট হয়। ক্যালরি যাতে ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...