ত্বকের সৌন্দর্য্যে লেজার ট্রিটমেন্ট কতটা নিরাপদ?

লেজার ট্রিটমেন্ট কী? ত্বকের সৌন্দর্য্যে লেজার ট্রিটমেন্ট কতটা নিরাপদ? লেজার ট্রিটমেন্টের সাহায্যে কি জন্ম দাগ দূর করা যায়? লেজার ট্রিটমেন্টের কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে? বিস্তারিত জানালেন কসমেটোলজিস্ট পায়েল ভট্টাচার্য্য (Payel Bhattacharya, Cosmetologist)

সৌন্দর্যায়নের ক্ষেত্রে এক ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে লেজ়ার ট্রিটমেন্ট। পায়েল ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, ‘লেজার’ একটা মেডিকেল পরিভাষা। লেজার হল হাইইনটেনশনসিটি লাইট। যা ত্বকে প্রবেশ করে অনাকাঙ্খিত কোষ নিষ্ক্রিয় করে দুটি পদ্ধতিতে লেজ়ার ট্রিটমেন্ট করানো হয়, অ্যাবলেটিভ এবং নন-অ্যাবলেটিভ। অ্যাবলেটিভ লেজারে স্কারস, মোল, ফাইন লাইনস এবং রিঙ্কেলস দূর করা হয়। অ্যাবলেটিভ লেজ়ার ত্বকের বাইরের স্তর সরিয়ে দেয়। নন-অ্যাবলেটিভ লেজারের ক্ষেত্রে ত্বকের উপরিভাগের কোনও ক্ষতি হয় না।

লেজার ট্রিটমেন্ট সকলেই বা যে কেউ করতে পারে না। যাদের ওপর থেকে ত্বকে কিছু করা যায় না তাদের চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন লেজারে যাওয়ার জন্য। সিভিয়ার একনে, দুর্ঘটনাজনিত কাটা ছেঁড়া, পোড়া দাগ,এই ধরনের সমস্যার জন্য লেজার করা হয়। অবাঞ্ছিত রোম দূর করতেও লেজার ভীষণ ভাল।

যদি সঠিক পদ্ধতিতে লেজার ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে তা একশো শতাংশ নিরাপদ। কোন রোগীকে কতটা ইন্টেন্স দিতে হবে লাইটে, মেডিকেল ব্যাকগ্রাউন্ড কী এইসব দেখে যদি লেজার ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে সমস্যা হয় না। ট্যাটু মুছতেও লেজার সেরা থেরাপি।

জন্ম দাগ একটা পিগমেন্ট যা আমাদের ত্বকের অনেক গভীরে থাকে। লেজারের কাজ পিগমেন্টটাকে অবসর্ভ করা। যে কোনও জন্মদাগ লেজারের সাহায্যে সহজেই তুলে ফেলা যায়। নির্ভর করছে ত্বকের কতটা অংশ জুড়ে আছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...