ফাইব্রোমায়ালজিয়ার প্রধান উপসর্গ কী?

ফাইব্রোমায়ালজিয়ার প্রধান উপসর্গ কী? কী কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়? ফাইব্রোমায়ালজিয়া থেকে মুক্তির উপায় কী? বিস্তারিত জানলেন কনসালট্যান্ট ইন্টারভেনশনাল পেইন স্পেশ্যালিস্ট ডাঃ কৌস্তভ বসু ঠাকুর (Dr. Kaustav Basu Thakur, Consultant Interventional Pain Specialist)

মাথার চুল থেকে পায়ের নখ সব জায়গার মাংসপেশীতে ভীষণ ব্যথা। আনক্সইটির সমস্যা হচ্ছে। রাতে ঘুম হচ্ছে না। কেন হঠাৎ এরকম হচ্ছে কারণ বোঝা যাচ্ছে না। তবে এসবই ফাইব্রোমায়ালজিয়ার লক্ষণ।

ডাঃ কৌস্তভ বসু ঠাকুর জানিয়েছেন, নানা ধরণের ব্যথা নিয়ে রোগীরা আসেন।ব্যথার কারণ খুঁজে পাওয়াই আসল লক্ষ্য।ফাইব্রোমায়ালজিয়া সেই অর্থে প্রায় নতুন পরিভাষা। ফাইব্রোমায়ালজিয়া আসলে নিউরাল সেন্সল ডিজঅর্ডার। এখানে স্নায়ু, সাইকোলজিক্যাল স্পেস, তার সঙ্গে সেন্সেশন জড়িয়ে। আমাদের মস্তিষ্ক এই ব্যথাকে বুঝতে পারে না। সাধারণভাবে চিমটি কাটলে বা কোনওরকম ব্যথা হলে যে অনুভব হয় সেই ব্যথা এই ধরনের রোগীদের অনেক বেশি হয়। এই যে অত্যাধিক সংবেদন প্রবণতা একেই সাধারণভাবে ফাইব্রোমায়ালজিয়া বলা হয়।

মাথার চুল থেকে পায়ের নখ অবধি ব্যথা এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। তবে শরীরে অন্য কোথাও নয়, শুধুমাত্র মাংসপেশীতে ব্যথা। সঙ্গে প্রচন্ড ক্লান্তিভাব। বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া। অ্যাংজাইটি, মুভড ডিসঅর্ডার, ডিপ্রেশনের মতো লক্ষণ দেখা যায়। অ্যাংজাইটি, স্ট্রেস, ডিপ্রেশন যাদের থাকে তাদের ফাইব্রোমায়ালজিয়া বেশি দেখা যায়। ব্যথার সঙ্গে মানসিক সমস্যাও যুক্ত থাকে। মনসংযোগ সমস্যা দেখা যায়। ঠিক কী কারণে এই রোগ হয় তার সুস্পষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি এখনও। প্যাথোফিজিওলজিও প্রায় অজানা।

আজকের সময়ে মানুষের প্রতিদিনের জীবনের স্ট্রেসও গুরুত্বপূর্ণ কারণ। ফাইব্রোমায়ালজিয়া ডায়গনেসিসের ক্ষেত্রে দেখা যায় ৬০ শতাংশ মানুষের অ্যাংজাইটি আছে। ৭৪ শতাংশ রোগীর ডিপ্রেশন আছে। এই কারণগুলো ধরে এগোতে হয়।

এই রোগের তেমন কোনও ওষুধ নেই। তবে রোগের বিরুদ্ধে রোগীকে সচেতন করে তোলা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। স্ট্রেস কমানো, রিলাক্সশন টেকনিক শিখে নেওয়া, সঠিক ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলা, তার জন্য হাইজিন মেনে চলা। নেশা থেকে দূরে থাকা এগুলো দরকার। অ্যারোবিক্স এক্সারসাইজ, জগিং এইসব দিয়ে চেষ্টা করতে হবে। তাও যদি না কমে তখন ওষুধ প্র োগের ভাবনা করা হয়।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...