স্মাইল ডিজাইনিং কী?

দাঁতের ক্ষয়, ক্যাভিটি বা ক্যারিস-এর লক্ষণ কী? স্মাইল ডিজাইনিং কী? এই বিষয়টি কতটা নিরাপদ? দাঁতের সমস্যা এড়াতে প্রতিদিন কী কী নিয়ম অবশ্যই মানতে হবে? পরামর্শ দিলেন অর্থোডন্টিস্ট এবং কসমেটিক ডেন্টিস্ট ডাঃ ভনিতা বরাই (Dr Vanita Barai, Orthodontists and Cosmetic dentist)

ডাঃ ভনিতা বরাই জানিয়েছেন, ক্যাভিটির প্রথম লক্ষণ দাঁতে সাদা বা বাদামি দাগ দেখা যাবে। ধীরে ধীরে গাঢ় হতে থাকে দাগের রং। তারপর তা কালো হয়ে যায়। ঠাণ্ডা বা গরম খেলে দাঁত শিরশির করে। মিষ্টি খেলেও একই অনুভূতি হয়। অনেক সময় ব্যথা হয়। এগুলোই দাঁত ক্ষয়ের সবচেয়ে চেনা লক্ষণ। দাঁতের ফাঁকে জমতে থাকা খাদ্য কণা, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ ঘটলে ক্যাভিটির সমস্যা দেখা যায়। ধীরে ধীরে দাঁতের এক স্তর থেকে আর এক স্তরে ছড়িয়ে পড়ে। একবার শুরু হলে বাড়তেই থাকে। ভুল খাদ্যভ্যাস, ঠিকমতো ব্রাশ না করা, প্রচুর চিনি খাওয়ার অভ্যাস এই সব কিছুই ক্যাভিটির জন্য দায়ী।ক্যাভিটি একবার দেখা দিলে তাকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। চিকিৎসকের কাছে না যাওয়া পর্যন্ত তা বাড়তেই থাকে। পরে সংক্রমন ঘটে।

প্রয়োজনে দাঁতে ব্রেসেস লাগাতে হবে। কারণ দাঁতের সারিতে যদি ত্রুটি থাকে সেখান থেকেও একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা আসতে পারে।স্মাইল ডিজাইনিং এক ধরণের ডেন্টাল কসমেটিক ট্রিটমেন্ট। দাঁতের শেপ নিয়ে যদি আপনি খুশি না থাকেন, বা হাসিটাকে যদি একটু বদলাতে চান তাহলে কাঙ্খিত হাসি পেতে এই ট্রিটমেন্ট করা হয়ে থাকে। এটি স্থায়ী বন্দোবস্ত। এই প্রক্রিয়ার কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

দাঁতের যত্ন নিতে হবে ছোটবেলা থেকেই। শিশুদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে সেই অভ্যাস। দিনে দু’বার নিয়ম করে ব্রাশ করতে হবে। তাহলে শুরুতেই দাঁতের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...