হাওড়ার 'বড়মা' খুবই জাগ্রত, জেনে নিন মায়ের অজানা কথা

বড়মা কেবল নৈহাটিতে নেই, বড় মা রয়েছেন হাওড়ার সালকিয়াতেও। বড়মা শীতলা নামে তিনি পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দারা সালকিয়ার মা শীতলাকে ‘বড়মা’ বলেই ডাকেন।

শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দারা নয়, রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে বারবার মায়ের কাছে ছুটে আসেন ভক্তরা। 

ভক্তদের কথায়,  এই মন্দিরে মায়ের কাছে মন থেকে যা চাইবেন সব মনোবাঞ্ছা পূরণ হবেই হবে।  

এই মন্দিরের ইতিহাসও চমকপ্রদ।

সালকিয়ায় স্নানযাত্রা অর্থাৎ ‘মা শীতলার স্নান’ খুবই বিখ্যাত।

এখানে শুধুমাত্র বড়মা নন, তাঁর সাত বোনও এই হাওড়া সালকিয়াতে ভিন্ন ভিন্ন মন্দিরে অধিষ্ঠান করছে। স্নানযাত্রার দিন  সব বোন স্নান যাত্রায় মিলিত হন। তবে ছোট বোন বাদে। 

কিন্তু কেন বাদ যান ছোট বোন? এই রেওয়াজের পশ্চাতেও রয়েছে এক কাহিনী।

লোক বিশ্বাস, ছোট বোন মানে ‘ছোট মা’ নাকি ভীষন চঞ্চলা। তাঁকে একবার স্নান যাত্রায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই ঘটে মহা বিপদ। ছোট মা হারিয়ে যান গঙ্গার জলে। আর খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁকে। তারপর ঠিক ১ বছর বাদে, মাকে খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু এই একটা বছর তিনি কোথায় লুকিয়ে ছিলেন তা এখনও সবার কাছে অজানা।

সেই থেকে স্নানযাত্রার দিন ছোট মাকে স্নানযাত্রাতে নিয়েও যাওয়া হয় না। তাঁকে শিকলে বেঁধে রাখা হয়।

স্থানীয়দের বিশ্বাস যে এই স্নান যাত্রার দিন যদি মন থেকে কেউ কিছু চায় তাহলে পূর্ণতিথিতে তা সফল হবেই।

এই মন্দিরে এলে মায়ের টানে বারবার আসতে ইচ্ছে করবে, তা নিশ্চিত।

প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১:৩০টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৪টে থেকে রাত ৯:৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই মন্দিরটি।

কিভাবে পৌঁছাবেন মায়ের কাছে? প্রথমেই হাওড়া স্টেশনে আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে সালকিয়াগামী যেকোনও বাসে করে সালকিয়া মোড়ে নামতে হবে। এরপর সেখানে যেকোনও স্থানীয় ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেই পৌঁছে যাবেন মায়ের মন্দিরের দ্বারে।

এই মন্দির এখনও পর্যন্ত যদি না ঘুরে আসেন তাহলে একটা দিন ঠিক করে ঘুরে আসুন এই মন্দিরটি এবং মা শীতলাকে দর্শন করুন।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...