সুন্দর আর ঝকঝকে হাসি পেতে হলে দাঁতের যত্ন নেওয়াটাও খুব জরুরি। তার জন্য শুধু মাত্র সকালে উঠে ব্রাশ করলেই হবে না। সঠিক নিয়ম মেনে ব্রাশ করতে হবে। আর যে কোনও খাবার খাওয়ার পর দাঁতে খাদ্যকণা যাতে আটকে না থাকে তার জন্য দাঁত পরিস্কার করতে হবে। তবে দাঁতে কোনও সমস্যা হলে আগে ডেনটিস্টের পরামর্শ নিয়েই চিকিৎসা শুরু করতে হবে। কিন্তু দাঁতের যত্ন না নিলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে, জানালেন অর্থোডন্টিস্ট ও এম ডি এস ডাঃ শুভজিৎ রানা।
অর্থোডন্টিস্ট ও এম ডি এস ডাঃ শুভজিৎ রানা (Dr. Subhrajit Rana - MDS - Orthodontist) বলেছেন, দাঁতের ওরাল হাইজিন মেইনটেইন করার জন্য দিনে দু'বার করে ব্রাশ করাটা সত্যিই খুব জরুরি। কিন্তু ব্রাশ করার সময় সঠিক নিয়ম মেনে ব্রাশ করতে হবে। সার্কুলার মোশান বা আপডাউন মোশনে ব্রাশ করতে হয়। নরম টুথ ব্রাশ সব সময় ব্যবহার করতে হবে। দাঁতে কোনও খাবার না আটকায় এটা খেয়াল রাখতে হবে। কারণ দাঁতে খাবার আটকালে সেখান থেকে ইনফেকশন হবে সেখান থেকে ক্যাবেটি হবে। এই খাবার যাতে না আটকায় তার জন্য ফ্ল্যাক্স ব্যবহার করতে হবে। আর দাঁতের কোনও থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শীতকালে অনেক সময় বেশি ঠাণ্ডা খাবার খাওয়ার পর দাঁত শিরশির করে। দাঁতের ক্যাবেটির সমস্যা থাকলে অনেক সময় দাঁতের সেন্সিভিটি বেড়ে যায়, যার ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা দেখা দিলে রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট করা হয়। আগেকার দিনে এই ট্রিটমেন্ট করাতে বহু মানুষ ভয় পেতেন কারণ এটা অনেক সময় সাপেক্ষ ছিল। কিন্তু এখন মোটরাইজড রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট হয় যা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায় এবং সঠিকভাবে ট্রিটমেন্টটা করা সম্ভব হয়। এই চিকিৎসার পর ক্রাউন লাগানো হয় দাঁতের উপর। ক্রাউন ব্যবহার করার আগে সেই ক্রাউনের মাপ নিতে হয়। অনেক মানুষের দাঁতের মাঝে ফাঁক থাকে। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য ব্রেসেলস ব্যবহার করা হয়। এক থেকে দেড় বছর এই চিকিৎসা পদ্ধতি চলে তারপর দাঁত মাঝে ফাঁক আর থাকে না। এছাড়াও জন্ম থেকে মুখের চোয়াল অনেকটা আগে বা পিছনে থাকে। অর্থোগ্যান্টিক সার্জারির মাধ্যমে মুখের চোয়াল এগিয়ে বা পিছিয়ে আনা সম্ভব। তবে যে কোনও চিকিৎসার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে।