চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরের কী ক্ষতি হয়?

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরের কী ক্ষতি হয়? অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক খেলে কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়? ছোটোদের কি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত? পরামর্শ দিলেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ দীপ্তেন্দ্র সরকার (Prof. (Dr.) Diptendra K Sarkar, Cancer Specialist)

অ্যান্টিবায়োটিকের মূল লক্ষ্য থাকে রোগের জীবাণু একদম মেরে ফেলা, কিন্তু বর্তমানে একেবারে অন্য বিপদবার্তা শোনা যাচ্ছে তার ব্যবহারে। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট অসুখের ক্ষেত্রেই কাজ করে ভাইরাস বাহিত অসুখে নয়।

ডাঃ দীপ্তেন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি সতর্কবাণী শোনায় বিশ্ববাসীকে।  গত নভেম্বর তারা এশিয় সদস্য দেশগুলিকে নিয়ে তারা একটি আলোচনাসভা করে তাতে এন্টিবায়োটিকের মাত্রাছাড়া ইচ্ছেমতো ব্যবহার নিয়ে বিপদ শোনায়। আমরা যে অ্যান্টিবায়োটিক দোকান থেকে কিনে খাচ্ছি তা আমাদের শরীরের কোনও জীবাণুকে কাবু করতে সক্ষম নয়। এটা একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি।

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাওয়া অতি বিপদজনক প্রবণতা। অ্যান্টিবায়োটিক অতিরিক্ত খেলে শরীরে একটি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়ে যায়, যার ফলে যে অ্যান্টিবায়োটিকগুলি প্রয়োজনেও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এছাড়া ফার্মিং-এও যথেষ্ট ব্যবহার দেখা যায়। চাষের জমিতে ব্যবহার হচ্ছে। ভুল মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াও বিপদজনক। সেই ভুল বড় বিপদে ফেলে অন্যান্যদেরও। ওই ব্যক্তির শরীরে সমস্যা না হলেও তার মল, মূত্র ইত্যাদির মাধ্যমে যা যা ব্যাকটেরিয়া বের হবে তা জলের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

অ্যান্টিবায়োটিক কতদিন খাওয়া যায়? এর উত্তর দু'রকম। অ্যান্টিবায়োটিক দুরকম। একটা প্রিভেন্টিভ আর একটি থেরাপিটিক। ধরা যাক কারও অপারেশন হতে চলেছে, তার আগে বা পরে সংক্রমণ এড়াতে অপারেশনের এক ঘন্টা আগে একটি ইনজেকটেবল অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। সাধারণ সংক্রমণের ক্ষেত্রে ৩-৫ দিন।

সাধারণভাবে ছোটদের হয় ভাইরাল সমস্যা, কিন্তু এই মুহূর্তে চিকিৎসা দুনিয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক মূলত ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের জন্য সুতরাং প্রাথমিকভাবে কখনই দেওয়া উচিত নয় যদি না ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থাকে।

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...