বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীদের সচেতন করে তোলার জন্য Sex Education খুব জরুরি। বয়ঃসন্ধির মুখে দাঁড়িয়ে তাদের মধ্যে নানা শারীরিক পরিবর্তন ঘটে, এছাড়াও সম্পর্ক এবং যৌনতা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে তাদের মধ্যে কৌতূহল দেখা দেয়। Sex Education -এর মাধ্যমে তাদের কৌতূহলের নিরসন হয়। যৌনতা নিয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ে। এই বিষয়ে কথা বলেছেন, রিলেশনশিপ কাউন্সেলর এবং সেক্সুয়ালিটি এডুকেটর জয়া জয়সওয়াল।
তাঁর মতে, এই শিক্ষা শুরু হওয়া উচিত ছোটোবেলা থেকেই। শিশুদের Safe Touch এবং Unsafe Touch সম্পর্কে অবগত করা দরকার। শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে বাঁচাতে অভিভাবকের এটি একটি অতি জরুরি পদক্ষেপ হওয়া উচিত।
শিশুর প্রথম শিক্ষা শুরু হয় বাড়ি থেকে, তাই তাদের সমস্ত কৌতূহলের উত্তর দেওয়ার দায়িত্বও বাবা-মায়ের। কিন্তু বাচ্চাদের কাছ থেকে যৌনতা বিষয়ক সংবেদনশীল প্রশ্ন আসলে উত্তর দিতে হোঁচট খান অনেক বাবা-মা। যৌনতা নিয়ে কথা বলতে এখনও অনেক মানুষ স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। এই বিষয়ে জয়া জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ছোটবেলায় বাচ্চাদের কথাকে অনেক বাবা-মা বিশেষ গুরুত্ব দেন না। বাচ্চা শান্ত বা মনমরা থাকলে তা স্বাভাবিক বলে এড়িয়ে যান। এমন অনেক ঘটনা আছে, যেখানে বাচ্চারা তাদের বাড়ির লোক বা চেনা কারোর কাছেই নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ বিষয়ে শিশুরা বাবা-মাকে জানাতে চাইলেও তাদের কথাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এর ফলে তারা সেই বিষয়ে কাউকে জানাতে ভয় পায়, তাদের মধ্যে অপরাধবোধ জন্মায়। এই অপরাধবোধের কারণে পরবর্তীকালে তাদের ব্যক্তিগত জীবনেও খারাপ প্রভাব পরে।
এই সমস্যার সমাধান একটাই। তাদের সাথে কথা বলতে হবে এবং সেই কথার সত্যতা যাচাই করতে হবে। ছোটবেলা থেকে বাচ্চাকে কোনও কাজে জোর না করে নিজেদের সিদ্ধান্ত যাতে নিজে নিতে পারে, তা শেখাতে হবে।
এছাড়াও সেক্স এডুকেশনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নানা যৌন রোগ। সচেতনতার অভাবে নানা যৌন রোগের সম্মুখীন হন অনেকে। এর মধ্যে প্রধান হল STD এবং STI। ভারতের ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ, দিল্লি, মুম্বাই আর পুণের ৭০ শতাংশ যুবক-যুবতি STD এবং STI নামক রোগে আক্রান্ত। মূলত একাধিক মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কারণে এই রোগ দেখা দেয়।
এই রোগ এড়াতে,সহবাসের সময় নিরোধ ব্যবহার করা উচিত। একাধিক মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হলে, STI স্পেশালিষ্টদের কাছে গিয়ে টেস্ট করিয়ে নেওয়া জরুরি।
প্রতিটি মানুষের যৌন বিষয়ক শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরি। যৌনতা নিয়ে প্রচলিত, সামাজিক কুসংস্কার এড়িয়ে বাবা-মায়ের উচিত শিশুকে সেক্স এডুকেশনের পাঠ শেখানো। এর ফলে যৌনতা বিষয়ক সচেতনতা তৈরি হবে।
In English

