কেমন হওয়া উচিত খেলোয়াড়দের খাদ্যতালিকা?

স্পোর্টস ডায়েট কী? কেমন হওয়া উচিত খেলোয়াড়দের খাদ্যতালিকা? লাইফস্টাইলের কোন কোন দিকে দিতে হবে বাড়তি নজর? সঠিক ডায়েট না মানলে কী ধরনের বিপদ হতে পারে? বিস্তারিত জানালেন ডায়েটিশিয়ান শিবায়ন গঙ্গোপাধ্যায় (Shibayan Ganguly, Dietician , Lifestyle & Sports)

শিবায়ন গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগেকার দিনে মারা বলতেন 'বাইরের খাবার খাবে না'। বাড়ির রান্না করা খাবার খেতে হবে। তখন বাইরে বেরলে সেভাবে রাস্তার খাবার খাওয়ার অনুমতি মিলত না। মিললেও খুব কম। এখন সেটা খুব কমন হয়ে গেছে। যা পৌষ্টিকতন্ত্রে প্রভাব ফেলে। ছোটবেলা থেকে প্যাকেজড ফুডের অভ্যাসের ফল তো আছেই। আজকের ব্যস্ততার দিনে এই ধরনের খাবার জীবনযাত্রা থেকে একেবারে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়, কিন্তু ব্যবহার যতটা কম করা যায় ততটাই ভাল।

ছোটবেলা থেকেই কেউ যদি অ্যাথলেট হতে চায় তাহলে তাকে প্রথমেই বাইরে খাওয়া বন্ধ করতে হবে। প্যাকেটফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে। তার পেটের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে বাকি স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে। পেট হল আমাদের দ্বিতীয় মস্তিষ্ক।

ফল, শাকসবজি, দই এসব খাওয়ার অভ্যাস যত বাড়ানো যায় ততই ভাল। পেঁপে, বিভিন্ন ধরনের লেবু, মরসুমি ফল, সবজি নিয়মিত খাওয়া উচিত। বাজার থেকে এনে বাড়িতে রান্না করে খান। পোলাও বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছে হলেও বাড়িতে রান্না করেই সেটা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

ছোটবেলা থেকে শিশুদের পেটের স্বাস্থ্য-এ নজর দেওয়া হলে স্বাভাবিক নিয়মেই সুস্থ স্বাস্থ্য গড়ে উঠবে। বাইরের খাবার অভ্যাস না থাকলে বড় হলেও সেই অভ্যাস আসবে না। শুধুমাত্র ভারতীয় খাবার বা বাঙালি খাবার সুক্তো, ডাল, ভাত কোনওটাই খারাপ নয়। মাছের ঝোল, সবজি ভাত, খিচুড়ি সবচেয়ে ভাল খাবার। কিন্তু এই খাবারের বাইরে গিয়ে সন্ধ্যে হলেই চাউমিন, চিলিচিকেন সেই অভ্যাসটা নেতিবাচক। শিশুদের নিয়ন্ত্রণে বাবামাকেই ভূমিকা নিতে হবে। শিশুদের সঠিক খাদ্যভ্যাস গড়ে তুলতে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যে কোনও জিনিস অতিরিক্ত হওয়াই খারাপ। প্রোটিন খেলোয়াড়দের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণে এর দ্বারা শরীর গড়ে ওঠে। কিন্তু তার অনুপাত যেন ঠিক থাকে। প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেড ব্যালান্স করে খেতে হবে যাতে এনার্জি লেভেল ঠিক থাকে।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...