সমাজে নারীদের অধিকার ও মর্যাদার লড়াই চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। কিন্তু সমানাধিকারের চেতনা এখনও দুরস্থ। তাই বারবার নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাকে। শারীরিক, মানসিক, সামাজিক বাদ যায় না কোনও দিকই। আসলে এএ এক গাঢ় অন্ধকার, যা থেকে মুক্তির লড়াইটা দীর্ঘ। সমাজের এই অন্ধকার দিকটা ছবির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরতে চেয়েছেন পরিচালক রঞ্জন ঘোষ। তার এই ছবির নাম 'মহিষাসুরমর্দিনী'। মুক্তির আগেই বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবি দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি জিয়ো আড্ডা উইথ অনিন্দিতা সরকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এই ছবি ওছবির ভাবনা সম্পর্কে জানালেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও পরিচালক রঞ্জন ঘোষ।
প্র: 'মহিষাসুরমর্দিনী' মানে শক্তির প্রতীক। আজ এত বছর পরেও নারীরা বিভিন্ন ভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তাই হঠাৎ এই ভাবনাটা নিয়ে ছবি কেন বানালেন?
রঞ্জন ঘোষ: সমাজে নারীদের একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে সেটাকে যুগ যুগ ধরে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসা হচ্ছে। শ্রী কৃষ্ণের জন্মের সময়েও এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা 'রামায়ন', 'মহাভারত'তেও এই এক ঘটনা ঘটেছে। এমনকি আজকের দিনেও এই একই ঘটনা ঘটছে।
প্র: ঋতু'দি অনেক রকমের চরিত্রে তুমি অভিনয় করেছ। তাই এই ছবি নিয়ে তোমার কী ধারণা রয়েছে?
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: 'মহিষাসুরমর্দিনী' কনসেপ্টটা আমার খুব নিজের মনে হয়। মেয়েদের সম্মানের জায়গাটা সব সময় আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই চরিত্রটা আমার খুব আপন মনে হয়েছে।
প্র: শাশ্বত'দা তুমি বেশ কিছু হিন্দি ও বাংলা ছবিতে অভিনয় করছ। কিন্তু কী দেখে এই ছবিতে অভিনয় করার সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছিলেন আপনি?
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়: আমি সিনেমার ভাবনাটা শুনেই বলেছিলাম যে আমি কাজ করব। এই ধরনের কাজ আগে হয়নি। কিন্তু আমরা এমন একটা কাজ করলাম বলেই এটা ডকুমেন্টশন হিসেবে থেকে যাবে। যেটা দেখলে পরবর্তী প্রজন্ম এই ধরনের কাজ করতে আরও উদ্বুদ্ধ হবে।
প্র: আমরা আগামী ভবিষ্যতে এই ভেদাভেদটা ভুলে বাঁচতে পারব।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়: শহরাঞ্চলে দিকে এখন এই ভেদাভেদ ব্যাপারটা কমেছে । কিন্তু অন্যান্য জায়গায় এখনও রয়েছে।
প্র: শুনেছি নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও কাজ করেছেন এই ছবিতে। তাদের নিয়ে কী বলবে?
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়: হ্যাঁ, আমাদের অভিনয় তো দেখছে দর্শকরা। কিন্তু ওদের অভিনয় দেখে সত্যিই চমকে যাবেন সকলে। সত্যিই সকলে খুব ভাল অভিনয় করছে।