মনামীকে যারা ভালোবাসে, তাদের তিনি উজাড় করে ভালোবাসা ফিরিয়ে দেন, কিন্তু কী বলেন ‘হেটার্স’দের?

‘জিয়ো আড্ডা উইথ লাবণ্য’র শোয়ে আজ অতিথি অভিনেত্রী মনামী ঘোষ। মনামীকে যারা ভালোবাসে, তাদের তিনি উজাড় করে ভালোবাসা ফিরিয়ে দেন, কিন্তু কী বলেন ‘হেটার্স’দের? কখনও সাফল্যের গোলাপ কখনও ব্যর্থতার কাঁটা- দীপাবলি থেকে গীতা সেন হয়ে ওঠার সফরকে কীভাবে দেখেন অভিনেত্রী? মনখোলা আড্ডায় শুনুন মনামীর মনের কথা।

প্রঃ  অভিনয়ের পাশাপাশি আর একটা ভালোবাসা নাচ, সেটা নিয়ে একেবারে শুরু থেকে কাজ করেছ। এতকিছু করার পর গান নিয়ে ভাবলে কেন?

মনামী ঘোষঃ গান নিয়ে আলাদা করে ভেবেছি এটা বলা খুব ভুল। আমি মিউজিক ভিডিয়ো নিয়ে ভেবেছিলাম। আমার এখন যেই মিউজিক ভিডিয়োটা এসেছে ‘আইলো উমা বাড়িতে’ , এটার কথা না ধরে আমি ‘ভিটামিন এম’এর কথা বলি । সেটা আমার আগের মিউজিক ভিডিয়ো এবং আমার গাওয়া। ওটা এমন একটা মিউজিক ভিডিয়ো ছিল যার কালার প্যালেট, কস্টিউম, লুক যেটা আমাদের বাংলায় হয়নি। সেইজন্য করার চাহিদাটা সেটা ওখান থেকেই এসেছে। আমি ভীষণ কে- পপের ফ্যান। সেটা আমার মিউজিক ভিডিয়োটাতেই দেখতে পাবে। কিন্তু এখন এই পুজোর গানটা, এখানে আমি গানটা গাইনি। খুব কম সময়ে পুরোটা শেষ করি। প্রায় ২০ দিনের মধ্যে সবটা শেষ করি।

প্রঃ দীপাবলি থেকে আজকের গীতা সেন হয়ে ওঠা সেই জার্নি, এই পুরোটাকে তুমি কিভাবে দ্যাখো?

মনামী ঘোষঃ কীভাবে দেখি আমি, সেটা এক কথায় বলতে পারব না। বিভিন্ন রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে। যখন দীপাবলি করেছি তখন আমি স্কুলে। হঠাৎ অফার আসে এবং সেইভাবেই শুরু। আমার বাবা-মা খুবই সাপর্টিভ। তখন ঠিক হয় যে শুধু দীপাবলিটাই করব তারপর আবার পড়াশোনা সব কিছু করে পরে ভাববো এটা নিয়ে। কিন্তু তারপর সবার ভালো লাগতে একের পর এক অফার আসে। তারপর নানা কাজে যুক্ত হয়ে আজকে গীতা সেন। 

প্রঃ অনেক স্ট্রাগল এসেছে, কিন্তু তারপরেই এরকম মিষ্টি মুখে মনামী ঘোষ কিন্তু একইরকম হয়ে গেছে। এটার রহস্যটা একটু বলো।

মনামী ঘোষঃ কিছুই রহস্য নেই। মিষ্টি মুখের সঙ্গে মনটাও মিষ্টি রাখলে , সব ঠিক থাকবে।

প্রঃ তোমার সোশাল মিডিয়ায় অনেক ফলোয়ার্স। সেখানে অনেকে ভালো বললেও, অনেক নেগেটিভ কমেন্টস আসে, এই ব্যপারটাকে তুমি কিভাবে দেখো?

মনামী ঘোষঃ আমার একটাই বক্তব্য যারা আমাকে ভালোবাসেন তাঁদের আমি উজাড় করে ভালোবাসি। কিন্তু যারা আমাকে ভালোবাসেনা কখনো কখনও তাদের আমি ভালোবাসি না আবার খারাপও বাসিনা। আমি জাস্ট ইগ্নোর করি।

প্রঃ বেশ অনেকদিন হয়ে গেল তুমি মেগা থেকে অনেক দূরেই আছো। আবার কি ফিরছো বা কিছু প্ল্যান আছে?

মনামী ঘোষঃ এখন তো কিছু প্ল্যান নেই।

প্রঃ সিনেমাতে সৃজিত মুখার্জির ছবি তোমার আসন্ন প্রজেক্ট এবং সেটা নিয়ে যদি কিছু বলো।

মনামী ঘোষঃ ছবিটা পুরো শুট রেডি। এই নভেম্বরে ওটা লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যাচ্ছে এবং কিছু ফেস্টিভ্যালে ঘুরে হয়েতো ওরা পরের বছর রিলিজ করার প্ল্যান করছে। আমার নিজের পার্ট ছাড়া পুরো ছবিটা দেখার সময় হয়েনি। কিন্তু আশাকরা যায় ওটা একটা মাইলস্টোন হতে চলেছে। এরকম দর্শকের ভাবনা। সেরকম কাজটাও হয়েছে।

প্রঃ চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করার কথা যদি বলো।

মনামী ঘোষঃ খুব ভালো। ভীষন মিষ্টি মানুষ, শান্ত মানুষ। কখনও দেখে বোঝা যায়নি প্রথম দেখা। মনে হত অনেক দিনের আলাপ। সেইজন্য কাজটাও হয়েছে খুব সহজ।

প্রঃ তুমি যখন কাজে যুক্ত হও, সবটা নিজে মনিটারিং করো। কখনও কি মনে হয়েছে যে ‘বিহাইন্ড দা ক্যামেরা’-তে একটা নতুন মনামী ঘোষকে আনা যেতে পারে।

মনামী ঘোষঃ হ্যাঁ, একদম। মনে তো হয়েছে। কিন্তু সময় সুযোগটা যদি ঠিকঠাক হয় তাহলে নিশ্চই করবো। এটা নয় নেই পরিচালক মনামী ঘোষ হতে হবে। কিন্তু এরম হতে পারে যেরকম ফ্যাশন নিয়ে কিছু একটা করলাম। বা নাচ নিয়ে কোনও প্রোডাকশন করা। এরকম নানা রকম প্ল্যান আছে। 

প্রঃ তোমার এই গানটার ‘ব্যাকস্টোরি’ নিয়ে যদি কিছু বলো।

মনামী ঘোষঃ এটা একটা পুজোর গান। তবে, আমরা অন্য পুজোর গানে প্রচুর সাজগোজ, অনেক গয়নাগাটি, শাড়ী, নাচ, গান-গাওয়া, পুজো হওয়া। আর ভিডিয়ো শেষ। কিন্তু এটা একটা গল্প। আমরা বলছি ৩ ঘন্টার গল্প ৩ মিনিটে। এখানে গল্প মানে সব চরিত্র। ভিডিয়োতে আমি এবং আমি ছাড়া যারা আছে, সবাই একটা করে ক্যারেক্টর। এইটা আমি করেছি। কস্টিউম ডিজাইন্টাও আমার করা বাকি সবারটা। লুকটা একদম সিম্পল। কোনও গয়না পরা, এক্সট্রা কিছু নেই। একদম মাটির গন্ধ রয়েছে গানটায়।  

প্রঃ ছোটবেলার মনামী ঘোষের পুজো কেমন ছিল?

মনামী ঘোষঃ ছোটবেলার দুর্গাপুজো একদম আলাদা ছিল। মাইকের আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গত। তখন দৌড়ে চলে যেতাম পাড়ার প্যান্ডেলে। সেখানে সিনিয়র কিছু কাজ দিলে খুশি হয়ে যেতাম। তারপর সেইসময় গোনা হত কটা জামা হল এবং এক একদিনে কটা করে জামা পরব। একটা অন্যরকম ইমোশন ছিল সেই সময়, সেটা এখন চাইলেও পাবো না। 

প্রঃ এবারে কটা জামা হয়েছে?

মনামী ঘোষঃ একটাও না। মাসিরা কিছু গিফট দেবে সেটা শুনেছি, তবে এখনও হাতে আসেনি। সময় পাচ্ছি না কেনার।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...