ফিটনেস মডেল হতে চাইলে কী কী বিষয় মেনে চলতে হবে?

ফিটনেস মডেল আর ফ্যাশন মডেলের মধ্যে পার্থক্য কী? ফিটনেস মডেল হতে চাইলে কী কী বিষয় মেনে চলতে হবে?  কত বছর বয়স থেকে শুরু হয় ট্রেনিং? কেমন হয় একজন প্রফেশনাল ফিটনেস মডেলের আইডিয়াল ডায়েট চার্ট? বিস্তারিত জানালেন ফিটনেস ও ফ্যাশন মডেল দেবরাজ চৌধুরী  (Debraj Chowdhury, Fitness & Fashion model)

দেবরাজ চৌধুরী র কথায় ‘ফিটনেস’ শব্দটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাশন মডেল বা ফিটনেস মডেল দুই ক্ষেত্রেই। ফিটনেস মডেল হওয়ার জন্য হার্ডওয়ার্ক,ডেডিকেশন,সেলফ ইন্সপিরেশন- এই তিন জিনিস থাকতে হবে। কঠোর পরিশ্রম মূল মন্ত্র। লেগে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে। এরপরেই আসছে ডায়েট। নিজের ডায়েট পুরোমাত্রায় মেনে চলতে হবে।

দেবরাজ নিজেও পুরোপুরি ফ্রী হ্যান্ড হিসেবেই তাঁর ডায়েট মেনে চলতেন। কোনওরকম বাইরের খাবার,জাঙ্ক ফুড,অয়েলি খাবার এড়িয়ে চলতেন। চেষ্টা করতেন যতটা ঘরোয়া খাবার খাওয়া যায়। ওটস,মুসি,ড্রাই ফ্রুটস এইসব। ঘুম থেকে উঠে ব্রাউন ব্রেডের সঙ্গে দুটো হাফ বয়েলড ডিম,গ্রিন স্যালাড। লাঞ্চে ভাতের সঙ্গে রুটি মিশিয়ে খাওয়া উচিত। সঙ্গে গ্রিন ভেজিটেবলস আর স্যালাড। এতে ভাত আর রুটির প্রোটিন এক সঙ্গে আসবে। শরীরের জন্য যা খুব দরকারি। শুধু ভাত খেলে হয় না। ইভনিং স্ন্যাকস হিসেবে বয়েল চানা চাট খাওয়া যেতে পারে।

ফিটনেস মডেল আর ফ্যাশন মডেলের মধ্যে পার্থক্য কী? এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়-ফ্যাশন মডেল আর ফিটনেস মডেল কিছুটা এক আবার কিছুটা এক নয়। দুইয়ের জন্যই হার্ড ওয়ার্ক আর ডেডিকেশন লাগে। ফ্যাশন মডেলরা ফিটনেসের অনেকটা বোঝে,কিন্তু ফিটনেস মডেলরা পুরোপুরি ফিটনেস ফ্রিক হয়। তারা পুরো ব্যাপারটার একদম গোড়া থেকে জানে। গ্রোথটা কোথা থেকে হচ্ছে সেটা বুঝতে পারে। ফ্যাশন মডেলদের বডি ফিটনেসে কোথাও কোনও খামতি থাকলেও থাকতে পারে,যা ফিটনেস মডেলদের নেই। তাই ফিটনেস মডেলরা ফ্যাশন মডেলও হতে পারে। জেনেটিক,ফিজিক স্ট্রাকচারের জন্য তারা একটু এগিয়ে।

তবে প্লাস সাইজ মডেলদের ফিটনেস মডেল হয়ে ওঠার পথ একটু কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। ফিটনেস খুব সহজ ব্যাপার নয়। জিমে গেলেই যে বডি বা ফিজিক হয়ে যাবে তা কখনই নয়। জিম ছাড়াও বডি ফিটনেস সম্ভব। সেক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছের জোরটাই আসল। অনেক রকম এক্সারসাইজ আছে যা জিম ছাড়াই বাড়িতে করা যায়। ক্যালাসেনিক এক্সারসাইজ প্রেফার করা যায়। যা গোটা বডিতেই কাজে লাগে।

ফিটনেস মডেল শুধুমাত্র একটা টার্ম নয়। মডেলিং দুনিয়ার বাইরেও সাধারণ জীবনের জন্যও জরুরি। যে কোনও স্পোর্টস, খেলাধূলা অ্যাথলেটিক্সে কাজে লাগে। সব থেকে বড় কথা নীরোগ থাকতে ফিটনেস চৰ্চা করতে হবে।

সারাদিন নাহলেও দিনের যে কোনও একটা সময় শরীর চৰ্চা করাই যায়। কেউ হয়ত চাকরি করছে, তার পাশাপাশি ফ্যাশন মডেলিং করছে, অথচ হাতে একদম সময় নেই, অন্তত যদি ৩০ মিনিটও সময় দেয় তাহলে হবে। সেটাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে হাঁটা, সাইকেলিং বা সাঁতারও কাজ দেয় শরীরের গঠন ঠিক করতে।

ডায়েটে মিষ্টি একেবারে বাদ। জাঙ্ক ফুড খাওয়া যাবে না। তেল ঝাল মশলাদার খাবারও বাদ দিতে হবে। মাপের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ফিটনেস চর্চার জন্য নিজেকে মোটেভেট করাও জরুরি। সেটাই প্রতিদিন উৎসাহ দেয়।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...