কাজের ফাঁকে কতটা ‘ল্যাদ’ খেতে ভালোবাসেন লগ্নজিতা?

জিয়ো আড্ডা উইথ লাবণ্য’ শোয়ে আজ অতিথি গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী। 'ল্যাদ' তাঁর প্রিয় শব্দ। রিল বানাতে একেবারেই ভালবাসেন না। পালাই পালাই মন নিয়েই অন্য স্বাদের সুরে বাংলা গানে এনেছিলেন নতুন বসন্ত। গানের জগতে দশ বসন্ত পেরিয়ে এসে আজও ভালবাসেন ‘ভালবাসার গান’। বসন্তের বিকেলে মন খোলা আড্ডায় শেয়ার করলেন নতুন গান আর জীবনের গল্প…

জিয়ো বাংলাঃ প্রথমেই বলো কেমন আছো?

লগ্নজিতা চক্রবর্তীঃ খুব ভালো নেই। বছরের শুরু থেকেই কিছু শারীরিক কমপ্লিকেশন্স চলছে। এছাড়া আজকে আমার লাস্ট ওয়ার্কিং ডে। কাল থেকে আমার মেডিকাল লিভ চলবে। একটা সার্জারি আছে।   

জিয়ো বাংলাঃ ‘ভালো লাগার গান’, এই নতুন গানটা নিয়ে যদি কিছু বলো।

লগ্নজিতা চক্রবর্তীঃ এই গানটা একেবারেই রিতমের ব্রেনচাইল্ড। এটা রিতমের ইউটিউব চ্যানেল থেকে রিলিজ করছে। আমরা রইতমের ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ জোন থেকে ওপারেট করছি। গানটা রিতম লিখেছে। সুর করেছে তমালিকা। গানটা গেয়েছি আমি। গানটার প্রথম স্পেসিয়ালিটি হল যে আমার বেশিরভাগ গানটাই হল মেজর কর্ডসের ওপর। এই গানটা মাইনর কর্ডসের ওপর। খুব কমল গান। এই গানটার সাথে একটি ভিডিয়ো বানানো হয়েছে যেটা খুবই এফর্ট দিয়ে করা হয়েছে। খুব মন দিয়ে বানানো হয়েছে। সেটা রিলিজ হলেই সবাই বুঝতে পারবেন।

জিয়ো বাংলাঃ একটা কথা বলো, গতবছরটা কেমন গিয়েছে তোমার? তোমার সব এক্সপেক্টেশন ফুলফিল হয়েছে?

লগ্নজিতা চক্রবর্তীঃ আমার এক্সপেক্টেশন ফুলফিল হয়েছে কিনা সেটা আমি কখনও ভাবিনি। কারণ আমি যে ১০ বছর ধরে কাজ করেছি। বসন্ত এসে গেছে রিলিজ করেছে ২০১৪ সালে। এতকিছু কোনওদিনই ভাবিনি। কিন্তু আমার প্রাইভেট স্পেসে আমার একটু এক্সপেক্টেশন থাকে। সেরকম ভাবে কোনও অ্যাম্বিশন নেই।

জিয়ো বাংলাঃ এই বিষয়টা নেই কেন? সেটা কি ল্যাদ নাকি অন্য কিছু?

লগ্নজিতা চক্রবর্তীঃ ল্যাদ শব্দটা বলার জন্য ধন্যবাদ। এটা খুবই দরকারি। কিছু করার সেই ব্যপারটাই আসে না। অল্প কাজ করেই ক্লান্ত হয়ে যাই। 

জিয়ো বাংলাঃ ১০ বছর ধরে কাজ করছো। এই গোটা ১০ বছরে কি কি বদল এসেছে তোমার মধ্যে?

লগ্নজিতা চক্রবর্তীঃ কিছু এক্সপেক্টেশন ফুলফিল হয়েছে। যেমন আগে খুব রেগে যেতাম। যেটা এখন অনেক কমেছে। এরকম অনেক কিছুই রয়েছে।

জিয়ো বাংলাঃ পরবর্তী কি কি কাজ রয়েছে তোমার?

লগ্নজিতা চক্রবর্তীঃ ২০২৪ সালে প্রচুর কাজ আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে প্রথম যে তিনটে কাজ আছে। প্রথমটা হল অনুপমদা’র সাথে একটা কাজ আছে সেই ‘হৃদয়ের রং’-এর এটা হল। আমাদের প্রথম ডুয়েট। সৌরাজ দা’য়ের ‘ভূতপরী’ রিলিজ করল। আরও একটি কাজ আছে ‘পক্ষীরাজের ডিম’। সেটায় অনির্বাণ আছে। সেখানে আমি গেয়েছি। প্রাঞ্জল দা’র সাথে একটা গান রয়েছে। বাকিগুলোর ভার্সন শোনা হয়েনি তাই সেইগুলো জানা নেই।

জিয়ো বাংলাঃ সবাই যে এখন ইউটিউব, ডিজিটাল নিয়ে ব্যস্ত। ইনভেস্ট করছে, ভাবছে, প্ল্যান করছে। তোমার কোনও প্ল্যান নেই?

লগ্নজিতা চক্রবর্তীঃ না। যেটা আমি পারিনা সেটার জন্য আমি দায়িত্ব নিয়ে আমি টিম করেছি। তারাই করে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...