হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কিডনিতে পাথরের সমস্যা নিরাময় কীভাবে সারে?

কিডনিতে স্টোন কেন হয়? হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এই রোগ নিরাময় কীভাবে সম্ভব? স্টোনের সাইজ যদি 25mm -এর কাছাকাছি থাকে, তাহলেও কি নন-সার্জিক্যাল পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কাজে দেবে? বিস্তারিত জানালেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক তাহা খানা (Dr. Taha Khan, Homeopathy Doctor)

কোনও নির্দিষ্ট একটা কারণে কিডনিতে পাথর হয় না। একাধিক কারণ থাকে। যেমন বংশগতি। মানে মা বাবার কিডনিতে পাথরের সমস্যা হয়েছে তখন সন্তানদেরও এই সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা দেখা যায়। জল কম খেলে বা কোনও কারণে স্বাভাবিক শারীরবৃত্তিয় কাজে যদি বাধা পড়ে, প্রস্রাব নিঃসরণ ঠিকমতো না হয়, বিজাতীয় পদার্থ পারস্পরিক দানা বেঁধে পাথরে পরিণত হয়। জল কম খাওয়া তার বড় কারণ।

ডায়েরিয়া বা শরীর থেকে কোনও কারণে অতিরিক্ত মাত্রায় জলীয় পদার্থ নিঃসৃত হলে সেটাও একটা কারণ। ডায়েটে খুব বেশি ক্যালসিয়াম, অতিমাত্রায় নুন, ফুড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে দিনের পর দিন ,তার জেরে শরীরে ভারসাম্য নষ্ট হলে সমস্যা শুরু হয়। প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম ডায়েট, একটানা ওষুধ ব্যবহার করলেও হতে পারে। হোমিওপ্যাথিতে এর চিকিৎসা আছে। কিডনিতে পাথর জন্মালে একবার তা সেরে গেলেও ফিরে আসার সম্ভাবনা থেকে যায়। হোমিওপ্যাথি সেই সম্ভাবনাকে সারিয়ে দেয়। সমস্যার একেবারে গোড়ায় গিয়ে সমাধান করে। অনেকেরই ধারণা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় অনেক খাবারের বিধি নিষেধ থাকে কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়। তবে কোনও ডায়েট যদি রোগের জন্য ক্ষতিকারক হয় তখনই বিরত থাকতে বলা হয়। কিডনির সমস্যায় হাই প্রোটিন ডায়েটে বাধা থাকে। ছোট স্টোন তাড়াতাড়ি গলে বেরিয়ে যায়। বড় আকারের পাথরে আগে ছোট করা হয়, তারপর গলানো হয় তাই সময় লাগে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...