হৃদরোগের সমস্যা কেন দেখা যায়?

বার্ধক্যে ঝুঁকি বাড়ে হৃদরোগজনিত সমস্যার। কিন্তু আজকাল অল্পবয়সীরাদের মধ্যে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা। ত্রিশের নীচে যাদের বয়স তারাও ‘সেফ’ নয়। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সেই কথাই বলছে। মানসিক চাপ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, রোজকার অভ্যাস কারণ একাধিক। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে অতিমারীর জটিল আবহ। গত ১০ বছরের আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান বলছে, তরুণ ও মধ্যবয়স্কদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের হার প্রতিবছরে ২ শতাংশ করে বেড়েছে

অনেক সময় আমরা বুকের ব্যথা হলে সেটা খুব সাধারণ সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যাই। কিন্তু এই ব্যথাই হার্ট অ্যাটকের পূর্বাভাস। তাই বুকের ব্যথা হলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া উচিত। বর্তমানে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে কম বয়সীরাই বেশি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে সঠিক সময় চিকিৎসা না করালে মৃত্যুর আশঙ্কাও রয়েছে। তাহলে হৃদরোগের লক্ষণগুলি কী কী? এই রোগ এড়িয়ে চলার উপায়ই কী?

এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কৌশিক চৌধুরী

ডা: কৌশিক চৌধুরী বলেছেন, হৃদরোগ গুলির মধ্যে অন্যতম বড় সমস্যা হচ্ছে 'ব্রকেন হার্ট'। সাধারণত কোনো মানসিক আঘাত থেকে এই সমস্যা দেখা দেয়। এই  'ব্রকেন হার্ট'-এর সমস্যা দেখা দিলে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়‌। তাই মানসিক চাপ কমাতে। তাহলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। হরমোন জনিত কারণের ফলেই এই রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন মহিলারা।

হৃদরোগের আরও একটি বড় সমস্যা হচ্ছে 'হার্ট অ্যাটক'। প্রায় সব বয়সের মানুষই ‌এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর সমস্যা দেখা দিলে সময় মতো চিকিৎসা না করালে মৃত্যুর আশঙ্কাও রয়েছে। বিশেষ করে ঘুম ভাঙ্গার পরেই হার্ট অ্যাটক হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এর থেকে বাঁচতে গেলে সময় মতো ঘুমিয়ে পড়তে হবে। তবে যদি কোনো সমস্যা বুঝতে পারা যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও চর্বি জাতীয়কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া কমাতে হবে, সুগার ও প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে, প্রত্যেক দিন হাঁটা চলা করতে হবে।

কিছু ক্ষেত্রে হৃদরোগের সমস্যা বংশগত কারণেও হতে পারে। এছাড়াও বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। বুকে ব্যথা, বমি হওয়া, বিশেষ করে সুগার ও ডায়াবেটিক রোগীদের এই সকল বিষয় বিশেষ নজর দিতে হবে। ৪০ বছরের বেশি বয়সী কোনো ব্যক্তি যদি এই সব সমস্যার সম্মুখীন হন। তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...