শ্রী রামের মন্দিরকে আগলে দাঁড়িয়ে ১৫১ ফুট রামভক্ত হনুমান, কোথায় অবস্থিত সেই মন্দির?

হিন্দু ধর্ম মতে ভগবান রাম হলেন বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। রামকে ঘিরে অনেক কাহিনী চর্চিত রয়েছে। ভগবান রামের জন্ম হয় অযোধ্যা শহরে। যেহেতু অয্যোধ্যাতে শ্রী রামের জন্ম, তাই শুধু সেখানেই রাম মন্দির থাকবে? এটা একদমই নয়। 

দেশের বহু জায়গায় রয়েছে শ্রী রামের মন্দির। সেইরকম আমাদের কলকাতা শহরের বুকেও রয়েছে এক রাম মন্দির। নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়াতে অবস্থিত সেই মন্দিরটি।

এই মন্দির প্রবেশ করতেই সেই পথের প্রথমেই রয়েছে এক সুবিশাল হনুমানজির মূর্তি। কথিত আছে যে রামের রক্ষকর্তা হনুমান। সেইভাবেই তিনি সবসময় বিরাজমান। এই মন্দিরে এলেও যেন ঠিক সেই দেখা যায় যে প্রভু রামকে আগলে রেখেছে তাঁর ভক্ত হনুমান।

এই মন্দিরে রোজ অসংখ্য ভক্ত সমাগম হয়। মঙ্গলবার ও শনিবার, এই দুদিন ভক্তদের সমাগম আরও দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। ৪০ বছরের পুরনো এই মন্দিরে শ্রী রাম মন্দির ছাড়াও রয়েছে হনুমানজির এক মন্দির। এই মন্দিরে বিশেষ দিনগুলিতে খুব সুন্দর নামগান অর্থাৎ ভজন –কীর্তন হয়ে থাকে। যা শুনলে মন শান্ত হবেই।   

এছাড়া এই মন্দির প্রাঙ্গণ খুব সুন্দর করে সাজানো ও সংগঠিত। এত ভক্ত সমাগম হলেও মন্দির খুবই শান্ত। একবার এই মন্দিরে আসলেই মনে হবে বার বার ঘুরে আসি।  

আপনি যদি বাড়ি থেকে পুজো সামগ্রী না নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে কোনও অসুবিধে নেই। এই পুরো মন্দির চত্বরে বিক্রি হচ্ছে সমস্ত রকমের পুজো সামগ্রী। এছাড়া গাড়ি নিয়ে আসলেও অসুবিধে নেই, পার্কিং রয়েছে সেটাও বিনামল্যে।      

প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আর বিকেল ৩টে -৩.৩০টের পর থেকে রাত ১০ পর্যন্ত খোলা থাকে এই মন্দির।

মূল মন্দিরে আসলে আপনি দেখতে পাবেন যে শুধু রাম, লক্ষ্মণ, সীতার মূর্তি নয়, এখানে রয়েছে রাধাকৃষ্ণ, পার্বতী দেবী, কালীকা দেবীর মত বহু ঠাকুর-দেবতার মূর্তি।

এক কথায় সবাই বলে যে সমস্ত ভগবান রয়েছে এক শক্তিতে অর্থাৎ সর্ব শক্তি দিয়েই তৈরি একটাই ভগবান।

এই মন্দিরের ভেতরটা তৈরি হয়েছে কাঁচ দিয়ে। দুর্দান্ত লাগছে চারিদিকটা। আলো পড়লেই জ্বলে উঠছে সমস্ত মন্দিরটা।  

কিভাবে আসবেন এই মন্দির দর্শণ করতে? নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়াতে অবস্থিত এই শ্রীরাম মন্দিরটি। ইকোপার্ক গেট নম্বর ৪-এ এসে পায়ে হেঁটে গেলে ১০-১৫ মিনিট লাগবে। এখানে এসে হনুমানজির বড় মুর্তিটি দেখতে পেলেই দিক পেয়ে যাবেন মন্দিরের। আর কোনো অসুবিধা হলে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই মিলবে মন্দিরের দিক। অথবা অটো কিংবা টোটো পাওয়া যায়, ১০-১৫ টাকা ভাড়া দিলেই পৌঁছে যাবেন মন্দিরের দ্বারে।  

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...