ফেজ-থ্রি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষে বাজারে আসছে ডেঙ্গুর টিকা। কারা নিতে পারবেন ভ্যাকসিন? ২০২৫-এ ডেঙ্গুর কোন বদল চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসকদের? কখন ডেঙ্গু জটিল রূপ(DHF বা DSS)নেয়? জরুরি পরামর্শ দিলেন ডাঃ মুর্শিদ আলম (Dr. Murshid Alam MBBS, MD General Medicine)
হাইলাইটসঃ
১। ডেঙ্গু রোগ কী?
২। এই রোগের উপসর্গগুলো কী কী?
৩। ডেঙ্গু রোগে Platelet কমে যাওয়া কি বিপদজনক?
ডেঙ্গু রোগ কী?
ডেঙ্গু একটি ভাইরাসঘটিত রোগ। মূলত জুলাই মাস থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যবর্তী সময়ে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এর মূল উপসর্গ হল জ্বর ও শরীরে দুর্বলতা। এটা মূলত মশার মাধ্যমে ছড়ায়।
এই রোগের উপসর্গগুলো কী কী?
এই রোগের প্রধান উপসর্গ হল জ্বর। এর পাশাপাশি হাত-পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি ও মাথাব্যথাও এই রোগের গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ।
কিন্তু কখন বোঝা যাবে যে, ডেঙ্গু ক্রিটিকাল স্টেজে পৌঁছে গিয়েছে?
ভাইরাল ফিভার তিনটি ধাপে ঘটে-
এক—জ্বর
দুই—জ্বরের উপশম
তিন—রোগ নিরাময়
ডেঙ্গু হলে জ্বর সাধারণত ৩ থেকে ৮ দিন থাকে। তারপর জ্বরের উপশম ধাপ শুরু হয়। এটি ৪৮-৭২ ঘণ্টা স্থায়ী হয়। এরপর আসে recovery state।
কিন্তু এই রোগের বিশেষ কিছু লক্ষণ থাকে, যা বুঝতে সাহায্য করে যে রোগ ক্রিটিকাল স্টেজে পৌঁছেছে। এগুলি হল-
১) প্রবল জ্বর
২) নিঃশ্বাসে কষ্ট
৩) পেটে ফাঁপা ভাব
৪) পেটে ব্যথা
৫) গায়ে র্যাশ ওঠা
৬) প্রচণ্ড দুর্বলতা
৭) ডায়ারিয়া
রোগীর দেহে এই লক্ষণগুলি লক্ষ করলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত।
ডেঙ্গু রোগে Platelet কমে যাওয়া কি বিপদজনক?
এই রোগের সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ হল Platelet কমে যাওয়া। তবে শুরুতেই Platelet কমে না। সাধারণত জ্বরের ৩-৫ দিন পর Platelet কমে। কারণ শরীর তখন ভাইরাসের বিরুদ্ধে Immune Reaction তৈরি করে। এর ফলে Platelet ও অন্যান্য রক্তকণিকার উৎপাদন ব্যাহত হয়।
যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু নিজে থেকেই সেরে যায়, কিন্তু যারা ক্রিটিকাল স্টেজে পৌঁছান, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিত। রোগীর ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগ থাকলে বেশি সাবধান হওয়া দরকার।
বিশেষ পরামর্শঃ
১। হেলদি খাবার খান
২। জল খান
৩। প্রয়োজনীয় ওষুধ খান
৪। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
ডেঙ্গু রোগের ভ্যাকসিন কি ভারতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে?
২০২৬ নাগাদ ডেঙ্গু ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে আসতে পারে। কিন্তু এই নিয়ে এখনও পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে।