শিশুদের জীবনে অভিভাবকদের অতিরিক্ত নজর কি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে? বাঙালি পরিবারে সবচেয়ে সাধারণ কোন অভ্যাসগুলসি সন্তানের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে দেয়? শিশু কুসঙ্গে মিশছে কিনা কীভাবে বুঝবেন? পরামর্শ দিলেন মনোরোগবিদ অধ্যাপক দেবাশিষ সান্যাল (Prof. Doctor, Debasish Sanyal, MBBS, MD, Psychiatry)
অভিভাবকদের অতিরিক্ত নজর কি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর?
শিশুর ডিপ্রেশনের নেপথ্যে অনেক কারণ থাকে। এর মধ্যে অভিভাবকদের অতিরিক্ত নজরও অনেক সময় একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্কুলে পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ, শিক্ষা ও সমাজব্যবস্থা, বর্তমানের পরিস্থিতির কথা ভেবে অভিভাবকের চিন্তা, বাবা-মা –এর স্বপ্ন পূরণের ইচ্ছে ইত্যাদি নানা কারণেই বাচ্চাটির উপর মানসিক চাপ এসে পড়ে। এই চাপ অতিরিক্ত হয়ে গেলে, শিশুর মধ্যে ডিপ্রেশন বাড়তে থাকে।
বাঙালি পরিবারে সবচেয়ে সাধারণ কোন অভ্যাসগুলসি সন্তানের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে দেয়?
১। পড়াশোনার জন্য বাচ্চাকে অত্যাধিক চাপ দেওয়া
২। নিজেদের ইচ্ছেগুলো বাচ্চাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া
৩। শিশুকে উৎসাহ না দেওয়া
৪। বাচ্চার কোনও ভুলে কঠোরভাবে তাকে তিরস্কার করা
শিশুর ডিপ্রেশন বুঝবেন কীভাবে?
প্রত্যেকটি শিশু আলাদা। অনেক বাচ্চা চঞ্চল আবার অনেকেই খুব চুপচাপ। কিন্তু বিশেষ কিছু কিছু বিষয় লক্ষ করলেই বাচ্চাটির সাধারণ মন খারাপ না ডিপ্রেশন, এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।
১। দিনের বেশিরভাগ সময়ই বাচ্চাটি মনখারাপ করে বসে রয়েছে
২। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে শিশুটির মনখারাপ
৩। শিশুটি কোনও কাজেই আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেনা
৪। নিজের পছন্দের কাজ করছেনা
৫। বাচ্চাটির নিজের প্রতি অপরাধবোধ কাজ করছে
৬। সঠিক পরিমাণে খাবার খাচ্ছেনা
৭। শিশু ঠিক করে ঘুমাচ্ছেনা
৮। বাচ্চার আচরণে পরিবর্তন দেখা যাবে
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় কী?
ডিপ্রেশন কোন পর্যায়ে রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা। এই চিকিৎসার বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে।
১। কাউন্সিলিং
২। পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে হবে
৩। পরিবারের মধ্যে বোঝাপড়ার সমস্যা হলে, সেটি ঠিক করতে হবে
৪। প্রয়োজনে ওষুধ খেতে হবে
৫। বাচ্চাকে ভালো করে কথা বোঝাতে হবে
৬। বাচ্চাকে উৎসাহ দিতে হবে