পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সন্তানের আচরণে কোন পরিবর্তন দেখলে সতর্ক হবেন? কীভাবে সন্তান অ্যাংজাইটি বা ডিপ্রেশনে ভুগছে? সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে মানসিক চাপ বাড়াচ্ছে? কখন মনোবিদের সাহায্য নেবেন? পরামর্শ দিলেন মনোবিদ প্রিয়াঙ্কা দাস (Priyanka Das, Consultant Psychologist, Specialized in Child and adolescent Counselling)
হাইলাইটসঃ
১।বর্তমান সময়ে শিশুদের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে আতঙ্ক এত বেশি কেন?
২।অভিভাবকরা বাচ্চাদের মন বুঝবেন কীভাবে?
৩। কখন মনোবিদের সাহায্য নেবেন?
বর্তমান সময়ে শিশুদের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে আতঙ্ক এত বেশি কেন?
পরীক্ষার আগে পরে বা পরীক্ষার সময়, যদি কোনও ভয় বা anxiety কাজ করে, তবে সেটাকে বলা হয় Exam Anxiety। যেকোনও Anxiety –র নেপথ্যে বিশেষ কিছু কারণ কাজ করে।
১। Biological Factors
২। Hormonal Imbalance
৩। Personal Factor
৪। Environment Factors
৫। Lifestyle Factors
৬। Negative Thinking
৭। lack of confidence, Ect
অভিভাবকরা বাচ্চাদের মন বুঝবেন কীভাবে?
১। বাচ্চাদের সঙ্গে বাবা-মা –এর একটা effective communication হওয়া উচিত। যাতে খুব সহজেই শিশু তাদের মনের কথা বাবা-মা –কে জানাতে পারে।
২। বাচ্চার মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।
৩। বাচ্চা যদি অন্যায় আবদার করে, তবে তাকে ভালো করে বোঝাতে হবে।
৪। বাচ্চার ভালো কাজ করলে প্রশংসা করতে হবে।
৫। শিশুকে অকারণে তিরস্কার করা উচিত নয়।
৬। বাচ্চাকে সহবত শিক্ষা দিতে হবে।
৭। বাচ্চার মনে মা-বাবার প্রতি ভরসা তৈরি করতে হবে।
অনেক বাচ্চা মা-বাবার পছন্দ অনুযায়ী কেরিয়ার বেছে নেয়, এটা কি ক্ষতিকর?
একটি বাচ্চার অভিজ্ঞতার তুলনায় তার অভিভাবকের অভিজ্ঞতা বেশি থাকাটাই স্বাভাবিক, কিন্তু নিজের পছন্দের বিপরীতে কেরিয়ার বেছে নেওয়া বাচ্চার পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। মা-বাবা কে একথা বুঝতে হবে যে, বাচ্চার পছন্দের বিষয়েও সফল কেরিয়ার গড়া সম্ভব। বাচ্চার মতামতকে এক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে। কোনও কাজেই বাচ্চাকে জোর করা উচিত নয়।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয় যে, বাচ্চার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। সেক্ষেত্রে মা-বাবা কে বাচ্চার সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং বাচ্চাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে যে, কেন তার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এর ফলে বাচ্চা মা-বাবার প্রতি ভরসা করতে পারবে।
কখন মনোবিদের সাহায্য নেবেন?
১। বাচ্চা যদি বাবা-মা –এর সঙ্গে সঠিকভাবে কথা না বলে
২। সামান্য কথাতে বাচ্চা রেগে যায়
৩। বাচ্চা যেকোনও কাজে খুব বিরক্ত প্রকাশ করে
৪। লো এনার্জি
৫। বাচ্চার আত্মবিশ্বাসের অভাব
৬। বাচ্চার অনিয়মিত ঘুম
৭। বাচ্চা সঠিকভাবে খাওয়াদাওয়া না করা
স্পেশাল টিপসঃ
১। বাচ্চা স্কুলে গ্রুপ বেসড অ্যাকটিভিটিতে অংশগ্রহণ করলে তার মন ভালো হবে
২। Anxity কমাতে বাচ্চা deep breathing করতে পারে
৩। ফাঁকা সময়ে বাচ্চা পছন্দের কাজ, যেমন বই পড়া, খেলা বা গান শুনতে পারে
৪। মনের কথা বাচ্চা ডায়রিতে লিখতে পারে
৫। যোগা বা মেডিটেশনও এক্ষেত্রে উপকারী
৬। বাচ্চা cognitive restructuring করতে পারে