বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুবিদিত ভোজরসিক। লেখার কলমের মতোই অ্যাডভেঞ্চার চালাতেন হাতা-খুন্তিতেও। কখনও স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর হেঁশেলে, কখনও পুত্রবধূ প্রতিমা দেবীর হেঁশেলে। কবির কথায় পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলত ভোজের রকমফের নিয়ে।কখনও মানকচুর জিলিপি কখনও আবার কাটলেটে।
চলতি বৈশাখে তাঁর জন্মমাসে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল ঠাকুর বাড়ির হেঁশেলের স্বাদে এক রন্ধন প্রতিযোগিতা। 'বাবুর্চি হাট'-এর উদ্যোগে 'স্পাইসেশ অ্যান্ড সসেজ' ক্যাফেটেরিয়াতে অনুষ্ঠিত হল 'মেগা ক্যালিনারী আর্টিস্ট হান্ট'। কবিপক্ষ উপলক্ষে প্রতিযোগিতার থিম ছিল 'ঠাকুর বাড়ির রান্না'। ঠাকুর বাড়ির রান্নাঘরে তৈরি করা হত এমন সব অভিনব পদ তৈরি করতে হয়েছিল প্রতিযোগিদের। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের সাজগোজেও ছিল ঠাকুর বাড়ির ছোঁয়া। বিচারক থেকে শুরু করে প্রতিযোগী, প্রত্যেকেই সেজছিলেন ঠাকুরবাড়ির সাজে।
বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন কিচেন কুইন অফ বেঙ্গল শুক্লা মুখোপাধ্যায়, তাঁর কন্যা ও 'স্পাইসেশ অ্যান্ড সসেজ'-এর কর্ণধার ছন্দা চক্রবর্তী। চারটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বেছে নেওয়া হয় প্রতিযোগিতার বিজয়ীকে। বেস্ট প্লেটিং, টেস্ট, ইনোভেশন আর ঠাকুর বাড়ির সাজ। যদিও 'বাবুর্চি হাট' এর আগেও অনলাইনে বহু রান্নার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। তবে অফলাইনে এটাই তাদের প্রথম রান্নার প্রতিযোগিতা। কলকাতা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকেও এসেছিলেন প্রতিযোগীরা।
ঠাকুর বাড়ির হেঁশেল থেকে কিমার দই বড়া, ফুলকপির সন্দেশ পাতুরি, পেঁয়াজের পরমান্ন মতো অভিনব পদ রেঁধেছিলেন প্রতিযোগীরা। এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ঠাকুর বাড়ির সংস্কৃতি সকলের কাছে তুলে ধরা।