‘‘মায়া’ আমার জন্য খুব বড় একটা চ্যালেঞ্জ’

প্রঃ 'মায়া' রিলিজ হতে চলেছে খুব সম্প্রতি। সেখানে তুমি লেডি ম্যাকবেথের একটা ভার্সন অফ রোল তুমি করেছ। রোলটা বেশ শক্ত। রাজর্ষির সঙ্গে তোমার বন্ধুত্ব সেখানেও খুব একটা কমফোর্ট জোন আছে নিজেদের মধ্যে সেখান থেকেই কি এই চরিত্রটা এক্সেপ্ট করা?

তনুশ্রী চক্রবর্তীঃ অবশ্যই, যখন শেক্সপিয়র করার কথা ভাবে লোকজন, এত লেয়ার্স আছে, প্রথমেই একটু ভয় পান, দর্শকরা মুখিয়ে থাকে যে কোথায় ভুল হতে পারে। কারণ ‘মোর অর লেস’ আমরা পড়ে আসি, দেখে আসি সিনেমায়। কিন্তু এটা বাংলা সিনেমায় প্রথম অ্যাডপ্টেশন। রাজর্ষির কথায় যদি আসি তাহলে বলব যে হ্যাঁ, অবশ্যই রাজর্ষি খুব বন্ধু এবং কমফোর্ট  জোন থেকে আসে। মানে, বন্ধুদের মধ্যেও, রাজর্ষি আর আমার মধ্যে একটা কমফোর্ট জোন আছে। একটা অ্যট্মোস্পিয়ার ক্রিয়েট করে, সেটা খুবই কমফর্টেবল। সেটা ডেফিনেটলি একটা সুবিধে। ‘মায়া’আমার জন্যে খুবই বড় একটা চ্যালেঞ্জ এবং লেডি ম্যাকবেথ। আমরা প্রচুর এরকম ছবি দেখেছি, যেখানে অসাধারণ ভাবে অভিনেতা- অভিনেত্রীরা প্লে করেছেন এবং আমার কাছে ডেফিনেটলি একটা চ্যালেঞ্জ, লোকজন পুরো ছবিটার দিকে তাকিয়ে আছেন। ৭ জুলাই রিলিজ, দর্শক যেমন ওয়েট করে আছে, আমরা প্রত্যেক দর্শকের রিয়্যাক্ট দেখবার জন্যে বসে আছি।

প্রঃ এরকম ডার্ক শেড তো খুব বেশী মনে হয় করনি,তাই না?

তনুশ্রী চক্রবর্তীঃ না করেছি, আমার কাছে চরিত্রটা চরিত্রের মতন, আমি জানি না সেটা ডার্ক শেড কি গ্রে শেড। কিন্তু আমার মনে হয় শেক্সপিয়র সমস্ত গল্পের, প্রত্যেকটা চরিত্রই, তারা তাদের মতই, সেটা কেউ সাদা বা কালো নয়, কিন্তু একটা গ্রে সেড আছে। তাদের মতো করে তাদের জাজ করা যায়। 

প্রঃ তোমার প্রথমদিকে সিনেমায় কমলেশ্বর দা ডিরেক্টর ছিলেন। কেমন অভিজ্ঞতা ছিল?

তনুশ্রী চক্রবর্তীঃ শুধু সিনেমা নয়, তার আগে প্রচুর বিজ্ঞাপন ডিরেক্ট করেছেন। কেরিয়ারের শুরুর দিকে প্রচুর ব্র্যান্ডস করেছি। মডেল হিসেবেই শুরু করেছিলাম, সেই সূত্রে প্রচুর ডিরেক্টর যারা এখন ফিল্ম ডিরেক্টর হয়ে গেছেন তাদের সঙ্গে বহু কাজ করেছি এবং এখন ডেফিনেটলি ফিল্মে কাজ করি কিন্তু আমার তাদের সঙ্গে জার্নিটা বহু আগে।

প্রঃ কমলেশ্বরদার সঙ্গে তোমার একটা ‘লাভ মেকিং’ সিন আছে । কেমন ছিল?

তনুশ্রী চক্রবর্তীঃ খুবই ইজি ছিল। কারণ, কমলদাকে আমি এত বছর চিনি এবং কমলদা আমাকে ডিরেক্ট করেছে এতবার এবং কমলদার পরিবারের সঙ্গে একটা অ্যাসোসিয়েশন আছে। কমলদাকে জিজ্ঞেস করলে কমলদা বলতে পারবে, আমার কাছে একটা কিছু হচ্ছিল কিন্তু এটা থিক লাভ মেকিং সিন নয়। বেশি কিছু বলবো না কিন্তু ‘ইটস আ বিউটিফুল কাপেল অফ সিন’। 

প্রঃ তুমি নিজের যত্ন কীভাবে নাও? একটু যদি টিপস দাও।

তনুশ্রী চক্রবর্তীঃ দ্যাখো, কিছু জিনিস যেটা আমার মনে হয়, যদি বুদ্ধি করে বলি সব থেকে ‘ইম্পোর্ট্যান্ট’ জিনিস হল মন ভালো রাখা এবং সামনের লোকটার  মেজাজ মন ভাল থাকে, আমার সৌন্দর্যে কিন্তু সামনে লোকটার দৃষ্টি। আমার যদি মন ভাল থাকে আমাকে নিজের আয়নার সামনে ভাল লাগবে। এটা দুটো বেসিক জিনিস। পসিটিভিটি  রিফ্লেক্ট করবে।

প্রঃ তুমি এক্সারসাইজ করো?

তনুশ্রী চক্রবর্তীঃ হ্যাঁ করি, রোজ করি,শুটিং-এর আউটডোর লোকেশনে থাকলে যেরকম সুযোগ পাই এক্সারসাইজ করি, হাঁটতে , দৌড়তে যাই। কলকাতায় থাকলেও কাজের জন্যে মাঝে মাঝে হয়ে ওঠে না, তবুও চেষ্টা করি জিম যাওয়ার।

প্রঃ কেউ যদি মডেল হতে চায় বা এই প্রফেশন বেছে নিতে চায় তাদের জন্য তোমার কি গাইডলাইন থাকবে?

তনুশ্রী চক্রবর্তীঃ বেসিক জিনিস্টা আমার মনে হয় যে, যেটা করতে চাও সেটার জন্যে জান লড়িয়ে দিতে হবে। কলকাতার এজেন্সির সঙ্গে কথা বলতে হবে, নিজেকে ফিট রাখতে হবে, কোন ধরণের কাজটায় তুমি ‘স্যুইটেবল’ সেটা ভাবতে বা দেখতে হবে আগে। যে কোনও ক্ষেত্রেই জেদটা থাকতে হবে।

প্রঃ দর্শকদের ‘মায়া’ নিয়ে যদি কিছু বলো?

তনুশ্রী চক্রবর্তীঃ মায়া রিলিজ করছে ৭ জুলাই। উইলিয়াম শেক্সপিয়রের কাহিনী অবলম্বনে, আমাদের ছবি ‘মায়া’এবং প্রত্যেকে যারা উইলিয়াম শেক্সপিয়র পড়েছেন তাঁদের খুব ভালো লাগবে। বাংলা ফিল্মের প্রথম অ্যাডপটেশন। একটা স্পেশাল ছবি। প্লিজ হলে গিয়ে ছবিটা দেখুন।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...