বাঙালির শীতের ডেস্টিনেশন

শীতের বাহারি খাওয়া দাওয়ার পরে, শীতের আরেক অপরিহার্য অঙ্গ হল বেড়ানো। শীত মানেই বড়দিন আর ইংরেজি নতুন বছরের বেড়ানো। শীত-শীত আমেজে সপরিবার ময়দান কিংবা চিড়িয়াখানা। ক্রিসমাস মানেই কলকাতার ঠিকানা সাধের পার্ক স্ট্রিট। দুর্গাপুজোয় ঠাকুর দেখার মতোই পার্ক স্ট্রিটে বড়দিনের আলোকসজ্জা দেখতে যাওয়াই যায়। পার্ক স্ট্রিটের আলোর রোশনাই দুগুণ করে দেবে উৎসবের আনন্দ।

ক্রিসমাস ইভের রাতে বা বড়দিনের রাতে একবার হেঁটে দেখতেই পারেন এ পথে। বড়দিনের সাবেকি আমেজটা আজও রয়ে গেছে শহরের অ্যাংলো-পাড়া বো ব্যারাকে। অবশ্যই একবার ঘুরে আসুন।

নানান রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় অ্যালেন পার্কে। একাধিক মনপসন্দ খাবারের স্টল থাকে। চট করে প্ল্যান বানিয়ে ঘুরে আসুন। কলকাতা থেকেই একটু দূরে ব্যান্ডেল চার্চে একবার ঘুরে আসতে পারেন। চার্চের মধ্যে রাতের প্রার্থনায়ও অংশ নিতে পারেন।

তবে যদি কলকাতার মধ্যে ঘুরতে চান, তবে নানান জায়গা আছে শহরের বুকে। কলকাতার রসগোল্লা থেকে বইপাড়া, ট্রামের থেকে গড়ের মাঠ, এসবকিছুকে ঘিরে উন্মাদনা সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে কলকাতা জুড়ে। পুরনো ঐতিহ্যের সাবেকিয়ানার সাথেই আধুনিকতার ছোঁয়ার এক অদ্ভুত যুগলবন্দী পাবেন এই শহরে।

শহর কলকাতার অলিগলি জুড়ে এই সময় শুধুই প্রেমের মরশুম, ভালোবাসা, সিটি অফ জয় চেটেপুটে নেওয়ার আদৰ্শ সময় হল এই শীতের মরশুম। চেনা কলকাতাকে মিঠে রোদ মেখে আরেকবার চিনে নেওয়া।

আলিপুর চিড়িয়াখানা:

শীতের দুপুরে ঘোরাফেরা বলতে প্রথমেই যেটা আসে। শীতের ছুটিতে এক আলসে দুপুরে রোদ গায়ে মেখে যদি একদিন কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় না ঘুরতে গেলেন, তাহলে কিসের বাঙালি আপনি! দক্ষিণ কলকাতায় অবস্থিত আলিপুর চিড়িয়াখানাতে শীতকালে বিশেষ করে বড়দিনে গেলে তিলধারণেরও জায়গা থাকে না। কলকাতার একটি অন্যতম জনপ্রিয়তম পর্যটন কেন্দ্র হল আলিপুর চিড়িয়াখানা, চিড়িয়াখানায় সবচেয়ে বেশি লোক সমাগম দেখা যায় শীতের মরশুমে। ৪৫ একর আয়তনের বিশিষ্ট এই পশুরালয়টি ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

এই চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ, হাতি, জেব্রা, গোরিলা সহ দেশ-বিদেশের নাম না জানা বিভিন্ন বিলুপ্তপ্রায় জন্ত-জানোয়ার এবং বিভিন্ন ধরনের পাখি এবং সরীসৃপের দেখা মিলবে।

শুধুমাত্র ছোট বাচ্চারাই নয়, বড়রাও সমানভাবে উপভোগ করেন চিড়িয়াখানা। শুধুমাত্র ঘুরতে যাওয়াই নয়, পিকনিক করার আদর্শ জায়গা এই চিড়িয়াখানা।

সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য খোলা থাকে এই চিড়িয়াখনা, টিকিটও রয়েছে। চিড়িয়াখানার উল্টো দিকে একটি অ্যকোয়ারিয়াম রয়েছে, সারা বিশ্বের বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ এবং জীবের সমাহার রয়েছে সেই অ্যাকোয়ারিয়ামে।

বড়দিন আর চিড়িয়াখানার এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, ১৮৮০ সালের ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে দর্শকদের টানতে চিড়িয়াখানার ভিতরে ইলেকট্রিক ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রামব্রহ্ম সান্যাল ট্রেন চালানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন বার্ন কোম্পানিকে। পশুশালায় এই ছোট ট্রেন দেখতে খুব ভিড় হয়েছিল। বাংলার ছোটলাট স্যর অ্যাশলে ইডেন স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন সে দিন। চিড়িয়াখানায় টিকিট বিক্রি বেড়ে গিয়েছিল হু-হু করে। কাছেই ন্যাশনাল লাইব্রেরি আছে একটু ঘুরে আসতে পারেন।

সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল:

নানান চার্চ রয়েছে এই শহরে। জোড়া গির্জা, সেন্ট জোন্স যেটায় ইচ্ছে যেতে পারেন। তবে সেন্ট পলসে একবার ঘুরে গেলে মন্দ হয় না। বিশাল অতিকায় আয়তনের এই চার্চ কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্য। ১৮৪৭ সালে এই চার্চটি তৈরি হয়েছিল।

সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চের স্থাপত্যরীতিও দেখবার মতো। চৌরঙ্গী রোডে বিশপস প্যালেসের ঠিক উল্টো দিকে অবস্থিত এই চার্চ। এর একদিকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিলা হল, এম পি বিড়লা তারামন্ডল ও অন্য দিকে নন্দন। বন্ধুরা মিলে এখানে ঘুরে আসতেই পারেন। তবে, চার্চে যাওয়ার আগে, অবশ্যই জেনে নেবেন তা খোলার সময়।

বিড়লা প্ল্যানেটরিয়াম:

সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালের কাছেই বিড়লা প্ল্যানেটরিয়াম অবস্থিত।  থিয়েটার রোড ও চৌরঙ্গী রোড ক্রসিং-এ বিড়লা প্লানেটরিয়াম অবস্থিত। এর গম্বুজটি ৭৫ মিটার উঁচু যার হলঘরে প্রোজেক্টরের সাহায্যে আকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের সাথে পরিচয় করানো হয়, তুলে ধরা হয় মহাজাগতিক বিভিন্ন রহস্য। কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন হিসেবে জনপ্রিয়তা রয়েছে বিড়লা তারামণ্ডলের। এখানে দিনের বিভিন্ন সময় শো হয়। একটু সময় দেখে ঘুরে আসতে পারেন।

সায়েন্স সিটি:

শীত কালে এখানে জায়গা পাওয়া মুশকিল। ছোট সদস্যদের নিয়ে সপরিবারে ঘুরতে যাওয়ার জন্য কলকাতার মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান হল সায়েন্স সিটি। ফলত এর চাহিদা গগনচুম্বী। শুধুমাত্র কচিকাঁচা কেন, বড়দেরও সমান পছন্দের জায়গা এই সায়েন্স সিটি।

ইভোলিউশন পার্ক, থিম পার্ক, প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসর পার্ক, মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, স্পেস থিয়েটার, টাইম মেশিন কি নেই এখানে! সঙ্গে বিভিন্ন জমজমাটি রাইড।

সকাল ৯টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য খোলা থাকে এই বিজ্ঞান-প্রযুক্তি উদ্যান। প্রবেশের জন্য টিকিট কাটতে হবে কিন্তু। এদের রোপওয়েটা চড়ার চেষ্টা করবেন।

পূর্ব কলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস ও জে বি এস হ্যালডেন এভিনিউ এর সংযোগস্থলে ৫০ একর জমির ওপর সায়েন্সসিটি অবস্থিত। এটি মূলত বিজ্ঞান সংগ্রহশালা ও বিজ্ঞান কেন্দ্রিক বিনোদন উদ্যান।

বোটানিক্যাল গার্ডেন:

হাওড়া শিবপুরের একটি ঐতিহাসিক উদ্ভিদ উদ্যান হল বোটানিক্যাল গার্ডেন। এই উদ্যানে মোট ১৪০০ প্রজাতির প্রায় ১৭ হাজারটি গাছ রয়েছে। ২৭৩ একর আয়তনবিশিষ্ট এই উদ্যানটি শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন নামে পরিচিত। বোটানিক্যাল গার্ডেনের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য ছিল মহাবটবৃক্ষ, যা আড়াইশো বছরেরও বেশি সময় ধরে কলকাতায় দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু বিগত আমফান ঝড়ে পড়ে গিয়েছে।

হুগলি নদীর পাড়ে অবস্থিত কলকাতার মধ্যে যদি নির্মল প্রাকৃতিক দৃশ্য যদি পেতে চান তবে, ঘুরে আসতে পারেন। বনস্পতির সঙ্গে নির্মল প্রাকৃতিক আনন্দ আপনার একঘেয়ে জীবনকে এক নতুন স্বাচ্ছন্দ্যে ভরিয়ে তুলবে। এই বোটানিক গার্ডেনে আপনি দেখতে পারেন বহু বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিভিন্ন রকমের গাছ, যাদের বিভিন্ন রকম গুনাগুন, এমনকি বিচিত্র বিচিত্র গাছও দেখতে পাবেন। তাহলে কী ভাবছেন এই শহরের কোলাহল ছেড়ে একটু প্রকৃতির মধ্যে নিজের সময়টা কাটিয়ে দেখুন।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল:

শ্বেত পাথরের তৈরি ইংল্যান্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়ার নামাঙ্কিত স্মৃতিসৌধটি কলকাতার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ। তাজমহল না থাকলে এটিই হত ভারতের হার্টথ্রব স্মৃতিসৌধ!

শীতে সবথেকে সুন্দর ঘোরার জায়গা হল কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল। একদিকে দারুণ এই স্থাপত্য, সঙ্গে লেক আর সবুজ গালিচা। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো হোক বা প্রেম, সবেতেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল অতুলনীয়।

এর ভিতরে রয়েছে ২৫ টি গ্যালারি, চারিপাশে রয়েছে সুসজ্জিত বাগান। ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নির্মাণকার্য শুরু হয় ১৯০৬ সালে এবং সৌধটির উদ্বোধন হয় ১৯২১ সালে। ইচ্ছে হলে ঘুরে আসতেই পারেন। ময়দানের সবুজ গালিচা তো রয়েইছে।

ভারতীয় যাদুঘর:

শুধুমাত্র বাচ্চারাই নয়, আবালবৃদ্ধবনিতা সকলকেই সমানভাবে আকর্ষণ করে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম।
পুরাতত্ত্ব, বিভিন্ন বিলুপ্ত জন্তু-জানোয়ার, পতঙ্গ, পাখি, প্রাচীনকালের মুদ্রা, স্থাপত্য সবকিছুর উল্লেখযোগ্য নিদর্শন পাওয়া যাবে এই যাদুঘরে। শীতের পড়ন্ত দুপুরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আদর্শ স্থান এটি। প্রায় আট হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই যাদুঘর, সাতটি গ্যালারিতে মোট ৬টি ভাগে শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, নৃতত্ব, ভূতত্ত্ব, প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য সংগ্রহ গ্যালারিতে সুসজ্জিত রয়েছে।

প্রিন্সেপ ঘাট:

জেমস প্রিন্সেপ এর স্মৃতিতে নির্মিত প্রিন্সেপ ঘাট কলকাতা সবচেয়ে পুরনো দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। ঐতিহ্যময় ঘাটটি উনিশ শতকের নস্টালজিয়া কে ধরে রেখেছে। এখান থেকে অনেকে নদীতে প্রমোদ ভ্রমণে যায়,২০১২ সালে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে কদমতলা ঘাট পর্যন্ত নদীতীরের উদ্বোধন করা হয়েছে, এই অংশটি আলোকমালা, বাগান, ফোয়ারা দিয়ে সাজানো হয়েছে।

অ্যাকোয়াটিকা:

এটি একটি জল ক্রীড়া করার উদ্যান যা ২০০০ সালে নির্মিত হয়েছে। অ্যাকোয়াটিকা রাজারহাটে কোচপুকুরে ৮ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এখানে একটি প্রধান আকর্ষণ ঢেউ যুক্ত পুল, যেখানে কৃত্রিম ঢেউয়ের মাধ্যমে সমুদ্র সৈকতের অনুভূতি পাওয়া যায়। এই জল উদ্যানে উপভোগ করা যায় বিভিন্ন রাইডসও, অ্যাকোয়াটিকায় অ্যাকোয়া ক্যাফে নামক একটি রেস্তোরাঁও আছে।

নন্দন:

এটি কলকাতার সাংস্কৃতিক রাজধানী। একটি সরকারি প্রেক্ষাগৃহ ও চলচ্চিত্র উৎকর্ষ কেন্দ্র যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ সাধনে গড়ে ওঠে নন্দন, যার মূল ভবনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য মোট তিনটি অডিটোরিয়াম রয়েছে, সেমিনার ও সাংবাদিক সম্মেলনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় চার নম্বর অডিটোরিয়ামটি। নন্দন কলকাতার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান অনুষ্ঠানস্থল। এর নামকরণ করেছিলেন সত্যজিৎ রায়।

নিকো পার্ক:

কলকাতার অন্যতম সেরা বিনোদন পার্ক এটি, সল্টলেকে অবস্থিত মোট ৪০ একর এলাকায় বিস্তৃত চিত্তবিনোদনমূলক পার্ক হিসেবে নিক্কোপার্ক রাজ্যের পর্যটকদের আকৃষ্ট হওয়ার অন্যতম স্থান। বিভিন্ন আনন্দদায়ক রাইডস্ এ-র পাশাপাশি এখানে নৌকা চালানোর জন্য লেক রয়েছে। এদের জয় রাইড খুবই বিখ্যাত।

ইকো পার্ক:

শীতকালীন ভ্রমণের জন্য রাজারহাট নিউ টাউনে রয়েছে ইকোপার্ক, ৪৮০ একর এলাকা জুড়ে সবুজে ঘেরা এক সুন্দর প্রমোদ উদ্যান। ভারতের বৃহত্তম বিনোদন পার্ক এটি। দিব্যি ঘুরে আসা যায় এই ইকোপার্কে। পার্কের ভিতরেই বিদেশের ছোঁয়া নিতে আসতেই হবে।

বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের পার্ক, মিষ্টি হাব, কৃত্রিম চা বাগান, নৌকাভ্রমণের ব্যবস্থা হাতের মুঠোয় সবই পাওয়া যাবে এখানে। নৌকায় ভিতরের দ্বীপে ঘুরে আসুন।

মন খুলে সাইকেলিং করুন। বাটার ফ্লাই গার্ডেন কিংবা রেইন ফরেস্টে ঢুকলে মন ভাল হয়ে যাবে। সন্ধ্যায় লেকের মধ্যে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড। পার্কটির মধ্যে একটি বিশাল আকারের কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হয়েছে। এই জলাশয়কে কেন্দ্র করেই সমগ্র পার্কটি তৈরি হয়েছে। মাঝখানে একটি দ্বীপ আছে, যেখানে খাবার রেস্তোরা ও থাকার হোটেল আছে। ইকো পার্কে মোট ছটি গেট আছে।

শীতকালে ঘুরতে এবং পিকনিক করতে এই জায়গা উপযুক্ত স্থান। এছাড়াও টয়ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে। পার্কটি প্রধানত তিন চারটি অংশে বিভক্ত যার মধ্যে প্রথম অংশটি ঝিল কে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে, দ্বিতীয় অংশটি তৈরি হয়েছে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য নিয়ে এবং ৩ ও ৪ নম্বর অংশটি প্রধানত বিভিন্ন রকম ফ্লোটিং রেস্টুরেন্ট ও ম্যারেজ হল নিয়ে তৈরি হয়েছে। পার্কটির এন্ট্রি ফি রয়েছে। শুরু ও পার্কটি বেলা ১২টা থেকে রাত আটটা অবধি খোলা থাকে।

ইকোপার্কের উল্টো দিকেই রয়েছে "ওয়াক্স মিউজিয়াম"। এটিও ঘুরে আসার মতো জায়গা। নিউ টাউনে অবস্থিত এই মোম শিল্পকর্মের যাদুঘরটি ভারতের প্রথম এমন যাদুঘর। প্রায় পঞ্চাশটি মোমের মূর্তি সমৃদ্ধ এই মিউজিয়মে মূর্তি আকারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, শাহরুখ খান, অমিতাভ বচ্চন, মহাত্মা গান্ধী, মাদার টেরিসা ছোটদের সুপারম্যান, মটু পাতলু বিরাজমান।

নিউটাউনের এক্সিস মলে প্রায় ৯ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে শহরের প্রথম স্নো পার্ক গড়ে উঠেছে, বরফের মজা উপভোগ করতে চাইলে চলে যেতে হবে এই পার্কে।

তবে করোনার কাঁটায় বিগত দু-বছর ধরে বাঙালির ঘোরাফেরায় খানিক টান পড়েছে। তবু আমাদের পায়ের তলায় সর্ষে, না ঘুরলে বাঁচবে না বাঙালি। বড়দিনে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে একটু এদিক ওদিক ঘুরেই আসুন।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...