পর্যাপ্ত খাবার নেই জঙ্গলে। সেকারণে বনের হাতি তছনছ করছে লোকালয়। বর্তমানে এমনই সঙ্কটে ঝাড়গ্রাম। হাতির ভয়ে বাইরে বেরতে ভয় পাচ্ছে মানুষ। কিন্তু উপায় কী? খিদের জ্বালায় কতক্ষনই বা নিজের অঞ্চলে আটকে থাকবে প্রাণীগুলো।
তবে উপায় খুঁজেছে বন দপ্তর। জঙ্গলে পর্যাপ্ত খাবারের যোগান দিতে এবার ১৫ হাজার কাঁঠাল গাছ রোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা। এরফলে ক্ষুধার্ত প্রাণীগুলোর পেট ভরবে আর প্রাণে বাঁচবে গ্রামবাসীরা।
প্রসঙ্গত, সোমবার ভোরে খাবারের সন্ধানে ঝাড়গ্রাম থানার সাপধরা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুবরাজপুর গ্রামে এক ব্যক্তির গোয়ালঘরে ঢুকে পড়ে হাতির দল। গোয়ালে বাঁধা ছিল তিনটি গোরু। হাতির তাণ্ডবে বাঁধন ছিঁড়ে একটি গোরু পালিয়ে যায়। কিন্তু বাকি দু’টি গোরুকে মেরে ফেলে হাতি। ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের বান্দরভুলা বিটের তরফে ঘটনাস্থলে গিয়ে গোরুর মালিক সঞ্জয় মুর্মুর হাতে ক্ষতিপূরণের ফর্ম তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই অঞ্চলে অব্যাহত হাতির হানা। ফলে হাতির খাবারের চাহিদা পূরণ করে জঙ্গলে হাতিকে আটকে রাখার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে ঝাড়গ্রাম বন বিভাগ।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম সহ বন বিভাগের প্রতিটি জঙ্গলে হাতির পছন্দের খাবার অনুযায়ী ফলের গাছ লাগানো হবে। কাঁঠাল, বেল, আম, কাজু, ডুমুর এই সমস্ত ফলের গাছের পাশাপাশি বাঁশও রোপণ করা হবে।
কিন্তু এই উদ্যোগেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেনা গ্রামবাসীরা। কারণ, চারাগাছ বড় হওয়া এক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু ততদিন হাতির তাণ্ডবে হয়ত তছনছ হয়ে যাবে গ্রামগুলি। ফলে তাঁরা এই মুহূর্তে স্থায়ী সমাধানের আশায় দিন গুনছে।