ভয় নেই আচারে

আচার! নাম শুনলেই বদলে যায় জিভের মন-মজাজ। মনখারাপ, অরুচি, একঘেয়েমি যাই হোক না কেন থালার পাশে এক চামচ আচার থাকলেই বদলে যায় সবটা!
ডায়েটের কারনেই ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছা আচার বাদ রাখতে হয় রোজকার ডায়েট লিস্ট থেকে। কিন্তু এখন যখন ‘ইমিউনিটি’ নিয়ে সকলেই খুব চিন্তিত, তখন ডায়েটিশিয়ানরা আবার আচারকে ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন।
তার অনেক কারণও আছে। প্রধান যেদিকটি উঠে এসেছে তা হল তেল আর নুন।
আচারে তেল এবং নুনের কারনেও ডায়েট চার্ট থেকে বাদ রাখা হয়। কিন্তু তেল আর নুন ব্যাকটেরিয়া আটকাতে ভীষণভাবে সাহায্য করে।
যাদের হাই ব্লাডপ্রেশার আছে তাদেরও নুনের কারণে আচারে ‘না’ থাকে। কিন্তু এই ভয় একেবারেই অমূলক। চিকিৎসকদের মতে নুনের চেয়ে আরও অনেক বেশি ক্ষতিকর জিনিস আছে যা ব্লাডপ্রেশারের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যেমন, ঘুম না হওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা না করা এমন অনেক কিছুই।

আচারে বেশি তেলের ব্যবহার নিয়ে তাঁদের মত, আচারে প্রধানত সরষের তেল ব্যবহার করা হয়। যা ঘি, মাখন এসবের ফ্যাটের চেয়ে অনেক কম প্রভাব ফেলে।
আচারে যে সমস্ত মশলার ব্যবহার করা হয় তাতে ভিটামিন, মিনারেল কম নয়। এক চামচ আচার প্রতিদিন অন্য খাবারের সঙ্গে খেলে অ্যানিমিয়া, ভিটামিন-ডি-এর এবং ভিটামিন- ১২ এর অভাব থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।
এমনকি ডায়েরিয়ার মতো রোগ দূরে রাখতেও আচারের জুড়ি মেলে ভার।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...