Chaitanya Mahaprabhu: চৈতন্য মহাপ্রভুর নাম ‘নিমাই’ হল কেন

নিম গাছের নীচে জন্মগ্রহণ করেন তাই তাঁর নাম হয় নিমাই। এই নামকরণের পিছনে দুটি কাহিনি আছে। আঁতুড়ঘর হয়েছিল বাড়ির এক পুরনো গাছের তলায়।

দুই-শচীদেবীর আট কন্যার জন্মের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রাণ হারায়। এতগুলি সন্তান মারা যাওয়ায় প্রতিবেশিনীরা তাঁকে মৃতবৎসা ভাবতেন। সেই নিয়ে তাঁর দুঃখের অন্ত ছিল না। নবম সন্তান বিশ্বরূপ।

আবার গর্ভবতী হন তিনি। কিন্তু এগারো মাস গর্ভধারণ করলেও কোনও সন্তান না হওয়ায় শ্বশুরমশাই নীলাম্বর চক্রবর্তীর শরণাপন্ন হন তাঁরা। নীলাম্বর চক্রবর্তী ছিলেন বিখ্যাত জ্যোতিষী। তিনি গণনা করে বলেছিলেন, শচীমাতার গর্ভে এক মহান পুরুষের জন্ম হবে। তবে ত্রয়োদশ মাসে ধরায় আসবেন তিনি।

তাঁর গণণাই সত্যি হয় শেষ পর্যন্ত। নিমাই তেরোমাস মাতৃগর্ভে ছিলেন। চৈতন্যচরিতামৃতের ত্রয়োদশ পরিচ্ছদে শ্রীকৃষ্ণ কবিরাজ লিখেছেন শচীমায়ের ত্রয়োদশ মাসের গর্ভাবস্থার কথা।

যমরাজকে ঠেকাতেই শচীমা দশম সন্তানের নাম রাখেন ‘নিমাই’। যাতে নিম-এর তেতোর ভয়ে যমরাজ ‘নিমাই’র থেকে দূরে থাকেন।

নিমাই-এর অন্য নাম ‘গৌরাঙ্গ’। উজ্জ্বল গৌরবর্ণের জন্য এমন নামকরণ। বাবা জগন্নাথ মিশ্র নাম রেখেছিলেন ‘বিশ্বম্ভর’। তাঁর আদিলীলায় শ্রী চৈতন্যদেব বিশ্বের সকল জীবকে প্রেমদানের মাধ্যমে ভরণ করেছেন বলে তিনি বিশ্বম্ভর।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, ‘কলির সন্ধ্যায় জীব জগৎকে ব্রজপ্রেম দান করার জন্য স্বয়ং আমায় অবতাররূপে জন্ম নিতে হবে’। কলিযুগের প্রথম বছরকে বলা হয় কলির সন্ধ্যা। নাম সংকীর্তনের মাধ্যমেই শ্রীকৃষ্ণকে ভক্তি নিবেদন করা সম্ভব। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তাঁর ভক্তদের নিয়ে সংকীর্তনের রস মাধুর্যে বিশ্বকে এক সূত্রে বেঁধেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ তত্ত্ব আর চৈতন্য তত্ত্ব মিলে গিয়েছে এক অঙ্গে। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...