জলপানের মাত্রা কীভাবে ইউরোলজিক্যাল সমস্যায় প্রভাব ফেলে

জল কম খেলে কী ধরনের ইউরোলজিক্যাল সমস্যা হয়? কোন কোন সমস্যাকে ইউরোলজিক্যাল সমস্যা বলা হয়? শিশুদের কী ধরনের ইউরোলজিক্যাল সমস্যা হয়? বিস্তারিত জানালেন আনন্দলোক হসপিটালে ইউরোলজিস্ট ডাঃ সায়ক রায় (Dr. Sayak Roy, urologist)

ইউরোলজির সমস্যা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। কিডনি থেকে শুরু করে ইউরেটার, ইউরিনারি ব্লাডার, প্রস্টেট্ গ্ল্যান্ড, মূত্রথলিতে পাথর, সংক্রমন, টিউমার, কিডনিতে পাথর, টিউমার বিভিন্ন কারণে ইউরোলজিক্যাল সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়, তার মানে এই নয় যে মহিলাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। মহিলাদেরও বিভিন্ন ধরনের ইউরোলজিক্যাল সমস্যা দেখা দেয়। কাজেই এরকম কোনও ধারণা রাখা ঠিক নয় যে পুরুষদের ক্ষেত্রেই শুধু মাত্র এই সমস্যা দেখা দেয়।

অনেক সময় মহিলাদের ইউরো লজিক্যাল সমস্যা হলে তাঁরা বুঝতে পারেন না কার কাছে যাবেন ইউরোলজিস্ট নাকি গাইনোলজিস্ট?

যেমন মহিলাদের ক্ষেত্রে খুব কমন সমস্যা প্রস্রাবে জ্বালা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ব্যথা, রক্তস্রাব- এইসব ক্ষেত্রে সমস্যা ইউরোলজিক্যাল। কাজেই এই উপসর্গ দেখা দিলে ইউরোলজিস্টের কাছেই যেতে হবে।সব চেয়ে কমন সমস্যা ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবে সংক্রমণ। অনেক কারণে এটি ঘটতে পারে।  যেমন ঠিক মতো জল না খাওয়া,  কম জল খাওয়া, বয়সজনিত কারণ, পাবলিক টয়লেট ব্যবহার, পরিষ্কার পরিছন্নতার অভাব কারণ একাধিক।সারাদিনে মানুষের দেড় থেকে ২ লিটার জল সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের খাওয়া উচিত। কিন্তু ৬০-৭০ ওপর বয়স, কিডনি, হার্টের সমস্যা আছে তাদেরকে অনেক সময় চিকিৎসক জল পানের পরিমান নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেন।ব্লাড সুগার যদি ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, বহুদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে ভুগছে তাদের ক্ষেত্রে ইউরিনে বহু সমস্যা হতে পারে। ঘন ঘন প্রস্রাব, বেগ ধারণ করতে না পারা এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।শিশুদের মধ্যেও ইউরোলজির সমস্যা হতে পারে। ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত হতে পারে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...