ইউরিক অ্যাসিডের জানা অজানা তথ্য

ইউরিক অ্যাসিড নামটির সাথে পরিচিত সবাই। প্রাকৃতিক নিয়মে শরীরে যেমন তৈরী হওয়া এই রাসায়নিকটি মূত্রের সাথে শরীর থেকে নিষ্কাশিত হয়ে যায় এটি। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমান বেড়ে গেলে হয় গিঁঠে বাতের সমস্যা। প্রচুর ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে এই রাসায়নিককে ঘিরে। আজ জেনে নিন এটির সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু তথ্য। যকৃৎ স্বাভাবিক নিয়মে প্রস্তুত করে এই ইউরিক অ্যাসিড। বৃক্কের মাধ্যমে তা ছেঁকে আবার শরীর থেকে বেরিয়েও যায়। যখন যকৃৎ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মাত্রায় এই অ্যাসিড প্রস্তুত করে তখনই ঘটে বিপত্তি। তাছাড়া বিভিন্ন খাবার থেকে উৎপন্ন হয় ইউরিক অ্যাসিড। শরীরে যখন এই অ্যাসিডের পরিমান অত্যন্ত বৃদ্ধি পায় তখন বৃক্ক সেই অ্যাসিড পুরোপুরি বার করে দিতে পারে না ফলে তৈরী হয় নানা সমস্যা। এই ইউরিক অ্যাসিড গিয়ে জমা হয় শরীরের বিভিন্ন হাড়ে। ফলে হাড় ফুলে গিয়ে শুরু করে ব্যাথা, নানা উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে শরীরে। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পেলে যেসব খাদ্য এড়িয়ে চলা উচিত তা হলো সামুদ্রিক মাছ, রেড মিট, রেড ওয়াইন, উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন মুসুর ডাল,পালং শাক, মাংস প্রভৃতি। অতিরিক্ত চিনি খাওয়াতেও বৃদ্ধি পেতে পারে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। স্বাভাবিক অবস্থায় শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের নির্দিষ্ট মাত্রা হল, পুরুষের ক্ষেত্রে: ৩.৪–৭.0 mg/dL এবং মহিলার ক্ষেত্রে: ২.৪–৬.0 mg/dLএর চেয়ে বেশি হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এক চামচ আপেল সিডার ভিনিগার এক গ্লাস জলে গুলে রোজ ২ থেকে ৩ বার পান করলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে মিলতে পারে মুক্তি।  

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...