জেনে নিন কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনায় লোহার বাসন ব্যবহার নিষেধ কেন

দেবী দুর্গা জলে পড়লে বাড়তে থাকে চাঁদের কলা। একটু একটু করে পূর্ণতার দিকে যায় সে। মা চলে যাওয়ার বিষাদ ভেঙ্গে ফের নতুন করে আর এক মায়ের আগমনী উৎসবে মেতে ওঠে বাঙালি।

আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। দিনটিকে লক্ষ্মী পূর্ণিমা বা শারদীয় পূর্ণিমাও ব্লা হয়ে থাকে। জ্যোতিষীদের মতে, এই রাতটি চাঁদের ষোলটি ধাপে পূর্ণ।

কোজাগরী শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ‘কে জাগে রে’। ভক্তদের বিশ্বাস শরতের ভরা পূর্ণিমার রাতে ধরায় নেমে আসেন দেবী। ভক্ত দ্বারে দেখা দেন তিনি। যে গৃহে আলো পান সে গৃহেই তাঁর পদচিহ্ন পড়ে। রাত  জেগে থেকে দেবীর আরধানা করাই রীতি।

দেবী লক্ষ্মী রত্নাসনা হয়েও ভক্তের ভক্তিতেই তিনি সন্তুষ্ট। সামান্য উপাচারেই তাঁর পূজা সম্ভব। এমনকি পুরোহিত ছাড়াই নিজেই বাড়িতে করা যায় তাঁর পুজো। তবে দেবীকে সন্তুষ্ট করার কিছু বিধি আছে। 

লক্ষ্মীপুজোয় সাধারণত কাঁসার কিংবা স্টিলের বাসনই ব্যবহার করুন।

লোহার বাসনের ব্যবহার থেকে শত হস্ত দূরে থাকুন। কারণ, এই বাসন দিয়ে একমাত্র অলক্ষ্মী পুজোর কাজই করা হয়।

লক্ষ্মীপুজোর উপাচারে তুলসী পাতা ভুলেও ব্যবহার করবেন না।  পুরাণ মতে বিষ্ণুর বিবাহ হয়েছিল তুলসী দেবীর সঙ্গে। তাই পুজোয় তুলসীর ব্যবহার একেবারেই পছন্দ করেন না দেবী লক্ষ্মী।

দেবী লক্ষ্মীর আরাধ্নায় সাদা ফুল ব্যবহার করা যায় না। পরিবর্তে লাল কিংবা গোলাপি রঙের ফুল দিন।

দেবী লক্ষ্মী শান্তিপ্রিয়া। তাই লক্ষ্মীপুজোয় ভুল করেও কাঁসর, ঘণ্টা বাজাবেন না।

পুজো করবেন মানে ধূপ, প্রদীপ তো তাতে ব্যবহার হবেই। কিন্তু যেখানে সেখানে নয়, পুণ্যার্জন করতে চাইলে ধূপ-দীপ রাখুন দেবী প্রতিমার ডানদিকে।

ভুলেও কালো কিংবা সাদা বস্ত্রের উপর লক্ষ্মীমূর্তি রাখবেন না। তার পরিবর্তে বেছে নিন অন্য যে কোনও রঙের বস্ত্র।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...