সবজি উৎপাদনে সেরার সেরা বাংলা

এবার উত্তরপ্রদেশকে পিছনে ফেলে সবজি উৎপাদনে প্রথম স্থান অর্জন করলো পশ্চিমবঙ্গ, জানা গেল কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য থেকে| জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশ আমাদের রাজ্যের থেকে তিনগুন বেশি বড় হলেও চাষের জায়গা আমাদের রাজ্যেই বেশি রয়েছে| উত্তরপ্রদেশে সবজি চাষের জমির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ হেক্টর| সেইক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের সবজি চাষের জমির পরিমাণ প্রায় ১৫ লক্ষ হেক্টর হওয়ার ফলে ২০১৪-২০১৫ সালে এবং তার আগেও একাধিকবার উত্তরপ্রদেশকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থান দখল করেছিল পশ্চিমবঙ্গ|

কৃষি এবং কৃষি বিপণন দফতরের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে যে শুধু সবজি উৎপাদন বেড়েছে তাই নয়| এরসাথে কৃষিপণ্যের জন্য এখন যথেষ্ট ভালো দাম পাচ্ছেন রাজ্যের কৃষকরা| নতুন আলু কেজি প্রতি ১৬ থেকে ১৭ টাকা দরে বিকোচ্ছে| শীতের শেষ এসে গেলেও এখনও ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাজার হয়েছে বেশ সরগরম| প্রতি পিস ৬ থেকে ৭ টাকা দরে বিক্রি করছেন চাষীরা| আগে শীতকালীন সবজি রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখানোর যে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই বলেই জানা গেছে|

কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ সালে রাজ্যে সবজি উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ২৯.৫৫ টন যা গত বছরের সবজি উৎপাদনের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম| ওয়েস্ট বেঙ্গল ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিতেবিলস এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের-এর যুগ্ম সচিব অঙ্কুশ সাহা জানান, গত দুই বছরে কলকাতা থেকে সবজি রপ্তানির হারও বেড়েছে খানিকটা|সিম, লাউ, বরবটি, কচু, মূলো পেঁয়াজকলির মতো সবজি পাড়ি দিছে পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপে| সুফল বাংলার মাধ্যমে বাংলার কৃষকদের সংস্থার যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে| জানা গেছে, বাগডোগরা বিমানবন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি চালু হলে উত্তরবঙ্গের পণ্যগুলির ভালো দাম পাওয়া যাবে|

মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি বিষয়ক উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন, দেশে ও বিদেশে পশ্চিমবঙ্গের উৎপাদিত সবজির বাজার আরও সম্প্রসারণের জন্য কৃষি পণ্যগুলির গ্রেডিং এবং সর্টিং-এর উপর এবার জোর দেওয়া হবে| বাঁকুড়া জেলার ছাতনার ফার্মার্স প্রোডিউসার্স কোম্পানির তপন দাস বলেন, এক হাজারের বেশি সংখ্যক কৃষক এই সংস্থার সাথে যুক্ত রয়েছেন| তিনি জানান, জৈব চাষের সম্প্রসারণ ঘটলে রপ্তানি আরও বাড়ানো সম্ভব্পর  হবে|       

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...