এখন জীবন মানেই প্রতিযোগিতা। দৌড় আর দৌড়। প্রতিযোগিতায় জেতার চাপ ব্যস্ত রাখে প্রতিটা মুহূর্ত। অফিস আর কাজ, কাজ আর অফিস। কিন্তু এই কাজের চাপেই আমাদের মাথা বাসা বাঁধে নানা দুশ্চিন্তা। এই দুশ্চিন্তা বিভিন্ন মানসিক অসুস্থতার কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। বাড়িতেও মেজাজ খিটখিটে থাকে। যদি কাজের চাপ মানিয়ে নিতে না পারলে কর্মক্ষেত্রে ও সাফল্য অর্জন করা সত্যিই প্রায় অসম্ভব হয় দাঁড়ায়। বাড়ির চাপ আর অফিসের চাপ দুই জীবনের সমতা রাখতে পারলে তবেই জীবনে সাফল্য আসা সম্ভব। যদি ব্যক্তিগত জীবন আর চাকরি জীবনকে মিলিয়ে ফেলেন তাহলে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাবে।
এই সমস্যার সময় মানসিক চাপ কমাতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন- কোনও কাজ নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। বরং মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করতে হবে। কোনও কাজ একা সামলাতে অসুবিধা হলে নিজের সহ কর্মীর সাহায্য নিন। অনেক সময় দীর্ঘ দিন এই দুশ্চিন্তা করার ফলে শরীরে অন্য রোগ বাসা বাঁধতে পারে। অফিসের কাজ বাড়িতে এসে করা বন্ধ করতে হবে। না হলে বাড়ির সদস্যের সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি হতে পারে। এছাড়াও কাজের ফাঁকে কোথাও থেকে ঘুরে আসা উচিত। তাহলে যেমন মন ভাল থাকবে তেমনি কাজ নিয়ে মনযোগী হবে। মানসিক চাপের কমাতে অনেকেই নিজের কাজে ফাঁকি দেন ও অফিসে যেতে দেরি করেন। কিন্তু এর ফলে কাজের চাপ কমার থেকে আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়।