সুস্থ থাকতে কে না চায়| কিন্তু রোগা হতে গিয়ে লম্বা সময় না খেয়ে থাকলে যে আবার গ্যাস্ট্রিক হবে| হতে পারে আলসারও|
আপনি কি গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ভুক্তভুগী? তাহলে এমন কিছু খাবার জেনে নিন যা আপনার গ্যাস্ট্রিক রোগে নিরাময়ের কাজ দেবে|
১) ময়দা থেকে দুরে থাকবেন, অর্থাৎ ময়দা থেকে তৈরী ব্রেড, চাউমিন, পাস্তা, ম্যাগি এমনকি ময়দার রুটিও খাবেন না|
২) মশলা কম পরিমানে খান, অর্থাৎ খাবারে বেশি তেল মশলা ব্যবহার বর্জন করুন|
৩) দুধের তৈরী যে কোনো খাবার এড়িয়ে চলুন| গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় দুধ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে|
৪) ফুড কালার ব্যবহৃত যে কোনো খাবারকে বলুন না! কারণ এইসব সিন্থেটিক খাবার শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হয় আর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়|
এবার প্রশ্ন, খাবারে গ্যাপ মানেই কি শুধু গ্যাস্ট্রিক ও আলসার? নাকি আরো কিছু?
ব্রিটেনে সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া একটি গবেষনায় জানা যায় যে আলসার ও গ্যাস্ট্রিক ছাড়াও আরো অনেক সমস্যা দেখা দেয় অনেকক্ষণ কিছু না খেয়ে থাকলে|
এবার ভাবুন তো, অনেকক্ষণ না খেয়ে উপোস করবেন, নাকি অসুখ বাধাবেন! তবে আপনি কি জানেন, যদি সঠিক ভাবে উপোস করা যায় তা আপনাকে রোগা করবে?
হ্যাঁ, একদম ঠিক শুনেছেন। সঠিক ভাবে খাবরে গ্যাপ দিলে আপনার শরীরের বাড়তি মেদ কমবে, কারণ এতে ক্যালরি বার্ন হবে| অনেকক্ষণ কিছু না খেয়ে না থেকে, কিছু ঘন্টা পর পর একটু করে খাবার খেলে তা আপনার পৌষ্টিক তন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ম মাফিক বজায় রাখতে সাহায্য করে| এটা নিশ্চই জানেন আপনি|
তবে এই খাবারের গ্যাপ-টা কিন্তু নিয়মিত একই সিডিউলে রাখতে হবে| অর্থাৎ প্রতিদিন একই সময়ে আহার গ্রহণ করতে হবে|
আর কখনো যদি কাজের চাপে অনেকক্ষণ কিছু খেতে না পারেন, তখন অন্তত ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন, ব্ল্যাক কফি শরীরে আপনার বাড়তি ওজন কমিয়ে দেবে|
খাবারের তালিকা থেকে ফাস্টফুড সরিয়ে তাতে কিছু পুষ্টিকর খাবার যেমন, চিকেন, মাছ, ডিম সিদ্ধ, ওটস, ব্রাউন রাইস ইত্যাদি এইসব রাখতে পারেন| তবে তেল মশলা এড়িয়ে|
এছাড়াও শাক-সবজি আর ফল বেশি করে খান| গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে ছানা খেতে পারেন|
আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বেশি করে জল খান| তা আপনার পাচক ঘটিত সমস্যার অনেকটা সমাধান করে|
তাহলে জানা গেল, খাবারে গ্যাপ দিয়েও আপনি অনায়াসে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির মাত্রা বজায় রেখে চললে শরীর সুস্থও হবে আবার বাড়তি মেদও কমবে|
In English

