গরমের অসুস্থতা থেকে বাঁচাতে বাঁকুড়ার স্কুলে চালু হল ‘জলপান ঘন্টা’

ঢং ঢং ঢং...গ্রামের স্কুলে এমন করে ঘন্টা বেজে ওঠার মানেই ছুটির ডাক। দিনের মাঝে ঘন্টা কানে এলে বুঝতে হবে টিফিন খাবার ডাক পড়েছে। এবার স্কুলে শোনে যাচ্ছে অন্য এক ঘন্টার ডাক। এ ঘন্টা ‘জলপান ঘন্টা’। দিনে দু’বার বেজে উঠবে সে। ছাত্রছাত্রীদের মনে করিয়ে দেবে নিয়ম করে জলপানের কথা।

পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া এবং পূর্ব বর্ধমানের স্কুলে চালু হয়েছে ‘ওয়াটার বেল’।   

প্রবল গরমে ছাত্রছাত্রীরা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে তার জন্য শুরু হয়েছে ‘ওয়াটার বেল’র নিয়ম। গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে কচিকাঁচাদের শরীরে জলশূন্যতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই জলপানের মাত্রা বাড়ানোর প্রয়োজন। দিনের মূল সময়টা তারা স্কুলেই থাকে। বহুক্ষেত্রেই দেখা যায় শিশুরা সময়মতো জল খাচ্ছে না। সে খেয়ালও তাদের থাকে না। তাই গরমের অসুস্থতা থেকে বাঁচাতে ‘ওয়াটার বেল’ পদ্ধতি চালু হয়েছে। সকাল ৭ টা ৪৫ এবং ৯ টা ১০ মিনিটে বেল বাজার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত ছাত্রীরা নিজেদের সঙ্গে থাকা জলের বোতল থেকে জল খাবে। তারা আদৌ জল খাচ্ছে কিনা নজর রাখবেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকারা। স্কুলের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

২০১৯ সালে কেরালার স্কুলেই প্রথম চালু হয়েছিল এই ‘ওয়াটার বেল পদ্ধতি’। পরবর্টী সময়ে কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, ওড়িশায় ছড়িয়ে পড়ে।  

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...