শেষ আষাঢ়ে বিদায় নিলেন ‘আপনজন’ স্বরূপ দত্ত

চলে গেলেন বাংলা ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা স্বরূপ দত্ত। বুধবার ৬ঃ১০ মিনিটে মল্লিক বাজারের এক  বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

গত শনিবার নিজের বাড়িতেই বাথরুমে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকেই ভেন্টিলেশনে। বয়সজনিত  সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন।

হাসপাতাল থেকে অভিনেতার দেহ বালিগঞ্জে তাঁর নিজের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।রেখে গেলেন স্ত্রী এবং পুত্রকে।

চেহারায় অদ্ভুত স্নিগ্ধতা। ছয়-সাতের দশকে ঠোঁটের কোণে তিল, মিষ্টি হাসি, অভিজাত চেহারার সুপুরুষ এক অভিনেতা নজর কেড়েছিল দর্শকদের। রোম্যান্টিক অভিব্যক্তি, অন্য অভিনেতাদের ভিড়ে কোথাও একটু যেন আলাদা। ১৯৬৭ সালে তপন সিনহার ‘আপনজন’ ছবি দিয়ে ডেবিউ। ছবির সম্ভাব্য অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রিপ্লেসমেন্ট’ হিসাবে। সত্তরের দশকের অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ছবি। বলিষ্ঠ অভিনয়ে শুরুতেই নিজের জাত চেনালেন।  

বেশ কিছু ছবিতে নায়কের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল স্বরূপ দত্তকে। সাগিনা মাহাতো, এখনই, হারমোনিয়া, পিতাপুত্র, স্বর্ণশিকার, মা ও মেয়ে, অচেনা অতিথি মনে থাকবে দর্শকদের।

হিন্দি ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। জয়া ভাদুড়ির বিপরীতে ‘উপহার’ ছবিতে।

১৯৪১-এর ২২ জুন কলকাতা শহরেই জন্ম হয়। সাউথপয়েন্ট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন।

স্কুল জীবন থেকে উৎপল দত্তের অনুরাগী। ‘টিএলজি’তে নাটক করতেন তাঁর ছত্রছায়ায়।  আজীবন সেই প্রভাবকে সযত্নে লালন করে গিয়েছিলেন। একটা সময়ের পর তিনি ক্রমশ আড়ালে চলে যান।

বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। টলিউডেও শোকের ছায়া।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...