নিজের কাজ নিয়ে কতটা অকপট ও সবার থেকে আলাদা বলিউডের ‘ভাইজান’?

আজ ২৭ ডিসেম্বর। ৫৮ বছরে পা দিলেন বলিউডের সলমন খান। কয়েক দশক ধরে অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত অভিনেতা। ১৯৮৮ সালে শুরু হয় তাঁর বলিউড সফর। একের পর এক সিনেমা করে মাতিয়ে রেখেছিলেন দর্শকদের। ধীরে ধীরে আমজনতার কাছে তিনি হয়ে উঠলেন বলিউডের ‘ভাইজান’।

তিনি সবসময় সবার থেকে বেশ আলাদা। সেটা কাজের ধরণ থেকে শুরু করে জীবনযাত্রা, দর্শন সব জায়গা থেকেই তিনি বেশ আলাদা। নিজের জীবন নিয়ে বেশ খোলামেলা তিনি। সাক্ষাৎকারগুলিতে ঠিক এটাই দেখা যায়।  স্পষ্ট ভাষায় তিনি বারবার সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন।

63199641_11zon

আজকে তাঁর জন্মদিন। তাই জেনে নেওয়া যাক ভাইজানের কিছু জানা অজানা কথা।

সদ্য মুক্তি পেয়েছে 'টাইগার ৩'। সেখানে দেখা গিয়েছে সলমন খান, ক্যাটরিনা কইফ ও ইমরান হাসমির মতন তাবড় তাবড় অভিনেতাদের। ছবির প্রচারে এসেছিলেন সলমন। সেখানে তিনি বলেন যে কিভাবে কোনও ছবির প্রস্তুতি নেন তাঁরা।

ভাইজান বলেন যে তিনি বাড়িতেই প্রস্তুতি নেন। তাঁর মতে অনেকেই নাকি মনে করেন যে সেটে এসে তিনি এমন কি আর করেন— শট দেন, কফি খান আর বাড়ি চলে যান। তবে যাঁরা জানেন তাঁদের থেকে শোনা যায় যে চিত্রনাট্য পড়া থেকে শুরু করে পরিচালকদের সঙ্গে বারবার বৈঠকে বসা, কি দরকার জেনে নেওয়া, ছবির জন্য শারিরীক ও মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করা এইরকম সবটাই বাড়িতে বসে করেন তিনি।

জীবনদর্শন নিয়ে একেবারে অকপট সলমন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে বাইরে গিয়ে অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলা, গসিপ করা, কার জীবনে কী কী হল, কার কত ফলোয়ার্স হল, কে কাকে আনফলো করল, সোশ্যাল মিডিয়ার কোন পোস্টে কী বোঝা গেল এইসবে তিনি গুরুত্বই দেন না। কেবল মাত্র কাজে মনঃসংযোগ করেন। কার জীবনে কী কী ঘটল এসবে তাঁর কখনই কোনও আগ্রহ নেই । তিনি জানালেন যে তাঁর একটা ছোট বন্ধুদের গ্রুপ রয়েছে। তাদের সঙ্গে সময় কাটান আর কাজ করেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে সলমন বলেন যে যদি তাঁকে বলা হয় যে ছবিতে জোয়া (টাইগার ফ্রাঞ্চাইজির ছবিতে ক্যাটরিনা কইফের চরিত্রের নাম)-ই সব, মানে তিনি ইন্টারভ্যালের পরে আসবেন আর ক্লাইম্যাক্সের আগে কয়েকটা দৃশ্য থাকবে্ন আর বাকি পুরো ছবিটাই ক্যাটরিনার... তাতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই।

কিন্তু জোয়া (ক্যাটরিনা কইফ)-র সাথে উল্টোটা হলে সহ্য করতে পারবেন না তিনি। তিনি চান ক্যাটরিনার চরিত্র আরও বাড়ুক। তিনি বলেন যে ছোটবেলা থেকে নিজের বাবাকে যেমন সাফল্য পেতে দেখেছেন, তেমনই বারে বারে বিফল হতেও দেখেছেন। সেই থেকে সলমনের মনে বিশ্বাস জন্মেছে যে কেউ কারও কর্মফল কেড়ে নিতে পারে না। তিনি যদি ভাল কাজ করেন তাহলে সফল হবেন। তার জন্য অন্যদের টেনে নামানোর দরকার নেই। সলমনের মতে  নিজের কাজ নিয়ে সৎ থাকাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...