সমুদ্রে না ফিরে ওয়াটার পার্কে ঘর বাঁধলো দুই সি লায়ন

গভীর নীলজলের মুক্ত জীবনের হাতছানি উপেক্ষা করেই বারবার তারা ফিরে আসছিল সৈকতের বেলাভূমিতে| গভীর সমুদ্রে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলেও দুজনেই ফিরছিল অপুষ্ট, আহত হয়ে| বছর তিনেকের দুই  সি-লায়ন নিব্লেট এবং ব্রাউলারকে তাই আর সমুদ্রে না ফিরিয়ে বদ্ধ জলেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে| এই দুই স্ত্রী সি-লায়নের ঠিকানা এখন হাওয়াইয়ের সি লাইফ পার্ক| কেন তারা বারবার ফিরে আসছে জানার পরই তাদের বুধবার নতুন ঘরের ব্যবস্থা করা হয়|

 ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ক্যালিফোর্নিয়ার হান্টিং বিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল স্ত্রী সি-লায়ন নিব্লেট। উদ্ধারের পর দেখা যাই সে অপুষ্টিতে ভুগছে সে। চিকিত্সা করে সুস্থ করে তুলে সাত মাস পর ফেরৎ পাঠানো হয় সমুদ্রেই | কিন্তু ঠিক এক বছর পরই তাকে আবার সৈকত থেকে উদ্ধার করা হয়। সে বারও তার ওজন আগের থেকে আরও কম বলে ধরা পড়ে| আর এক সি-লায়ন ব্রাউলারকে একই সালের মে মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার ডানা পয়েন্ট থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। চিকিত্সা করার পর তার গতিবিধি জানার জন্য একটি মাইক্রো চিপ লাগানো হয়| তার পর তাকে সেপ্টেম্বরে মাঝসমুদ্রে ছে়ড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু চার দিন পরই আবার সৈকতের কাছে পাওয়া যায় মৃতপ্রায় অবস্থায়। দেহে ও চোখে ক্ষত হয়ে গিয়েছে| দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা জানান সি-লায়নটি প্রায় ৭০ শতাংশ চোখের দৃষ্টি হারিয়েছে| সেই সঙ্গে ওজনও কমে গিয়েছিল।

দুই সামুদ্রিক প্রাণীর শারীরিক অসুস্থতার কথা ভেবে আর সমু্দ্রে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবেননি জীববিজ্ঞানীরা| কোনও ওয়াটার পার্কে পুনর্বাসিত করে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্তে আসেন তাঁরা| সেই মত দু বছর পর সেই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হয়|  হাওয়াইয়ের সি লাইফ পার্কে এখন নিব্লেট ও ব্রাউলার পর্যটকদের যাছে অন্যতম আকর্ষণ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...