প্রয়াত টলিপাড়ার বর্ষীয়ান অভিনেতা হরিদাস চট্টোপাধ্যায়। ৩০ এপ্রিল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অনেক দিন ধরেই বার্ধক্য এবং রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
অভিনেতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিকাপুরের এক আবাসনে ভাড়া থাকতেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তাঁর শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। কিন্তু আর শেষ রক্ষা হল না। কালিকাপুরের বাড়িতেই প্রয়াত হন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
টলিউডে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন তিনি। টলিপাড়ায় তিনি পরিচিত ছিলেন ‘মিঠুদা’ বা ‘মিঠু দাদু’ নামে। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। এছাড়াও অভিনেতা হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্র ও সিরিয়ালে একাধিক চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন তিনি। দাদু ও পুরোহিতের চরিত্রে মনজয় করেছিলেন দর্শকদের। তাঁকে দেখা গেছে অপর্ণা সেনের গয়নার বাক্স, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠপুত্র-এর মতো সিনেমায়। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সহকারী পরিচালকের কাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে নিজেকে পুরোপুরি অভিনয়ে যুক্ত করে ফেলেছিলেন মিঠুদা।
তাঁর মৃত্যু নিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন একাধিক টলি অভিনেতা। ‘দুগ্গামণি ও বাঘমামা’ ধারাবাহিকের নায়ক রাহুল দেব বসুর সোশ্যাল মিডিয়ায় মিঠুদার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, 'কিছুদিন আগেই আলাপ মিঠুদার সঙ্গে। সবসময় মুখে মিষ্টি একটা হাসি নিয়ে থাকতেন। গল্প করতেন। খুব অল্প সময়ে প্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন উনি। ওঁকে দেখলে মন ভাল হয়ে যেত। আর দেখা হবে না। ভাল থাকবেন। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি।'
অভিনেত্রী শ্রুতি দাসও অভিনেতার স্মৃতিচারণা করেছেন। ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তাঁরা। সমাজমাধ্যমের পাতায় ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “এরপর আর দেখা হয়নি। আর দেখা হবেও না— মিঠু দাদু।”