মাঘ মাস পড়তেই দীর্ঘ দিনের বান্ধবীর সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন টলিপাড়ার সত্যম

পৌষ মাস পেরোতেই আর মাঘ মাস পড়তেই, ফের শুরু হল বিয়ের মরশুম। এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ‘বল্লভপুরের রূপকথা’র রাজাবাবু অর্থাৎ টলি অভিনেতা সত্যম ভট্টাচার্য।

২২ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যায় দীর্ঘ দিনের বান্ধবী শাশ্বতী সিংহের সঙ্গে জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করলেন। জানা গিয়েছে দক্ষিণ কলকাতায় বসেছিল তাঁদের বিয়ের আসর। এদিন অভিনেতার বন্ধুবান্ধব ছাড়াও টলিপাড়া থেকে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, দেবরাজ ভট্টাচার্য প্রমুখ।

প্রায় দীর্ঘবছরের প্রেম তাঁদের। জানা যায় যে দু’জনেই ‘হিপোক্রিটস’ নাট্যদলের সদস্য। পাশাপাশি সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজেও নিয়মিত অভিনয় করেন তাঁরা।

অন্যদিকে, সত্যম চেয়েছিলেন টলিপাড়ায় পায়ের নীচের জমি শক্ত করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান। ২০২২ সালে ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ ছবিতে সত্যমকে মুখ্য চরিত্রে নির্বাচন করে দর্শককে চমকে দেন পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি সত্যমকে। এরপরেই ঠিক করেন বিয়ে করার কথা।

তবে, বিয়ে নিয়ে কোন ও বাড়তি প্রচার করেননি জুটি। আইবুড়োভাত থেকে শুরু করে গায়েহলুদ পর্বের ছবি তাঁদের বন্ধুরাই মূলত ভাগ করে নিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বিয়ের রাতে সত্যম সেজেছিলেন লালপাড় সাদা ধুতি এবং লাল রঙের পাঞ্জাবিতে। সঙ্গে নিয়েছিলেন নকশা কাটা সাদা কাশ্মীরি শাল। অন্যদিকে, শাশ্বতী পরনে লাল বেনারসি শাড়ি, লাল ওড়না, সোনার গয়না আর মাথায় শোলার মুকুট।

বিয়ের সুসম্পন্ন হওয়ার পর জুটিতে একফ্রেমে ধরা দেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই পোস্ট করেন অভিনেতা সত্যম। ক্যাপশনে নিজেদের সম্পর্কের টাইমলাইন লিখেছেন তিনি। সেই ক্যাপশন পড়ে জানা গেল যে ২০১৫ সালের ৯ এপ্রিল থেকে তাঁদের এই সম্পর্কের পথচলা শুরু। তারপর ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারিতে সেটার এক নতুন নাম দিলেন জুটি। সত্যম এদিন ছবিটি পোস্ট করতেই অনেকেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

কিন্তু বিয়ের মেনুতে কি ছিল? জানা গিয়েছে বিয়ের মেনুতে ছিল দুজনের পছন্দের খাবার। মাছের মধ্যে ছিল পমফ্রেট এবং ভেটকি পাতুরি। আর সাথে ছিল মটন বিরিয়ানি আর চিকেন চাপ।

তবে, আপাতত বিয়ের পরেই নবদম্পতির মধুচন্দ্রিমায় যাবে না। এমনটাই পরিকল্পনা করেছেন অভিনেতা। তিনি জানিয়েছেন যে বিয়ের পর্ব মিটলেই ফের শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন অভিনেতা।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...