কলকাতার বুকে বসতে চলেছে অত্যাধুনিক এয়ার পিউরিফায়ার

দিনের পর দিন চড়ছে বায়ুদূষণের পারদ। বৃষ্টির পরিমান কমছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে। ধুলো আর ধোঁয়ায় ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। গাছের পাতায় ধুলোর আস্তরণ পড়ছে। আর এই আবরণের ফলে উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরী করতে পারছে না। ফলে ধীরে ধীরে শ্রীহীন হয়ে পড়ছে কলকাতা তিলোত্তমা। কিন্তু মহানগরীর শ্রী ফেরাতে এক অভিনব পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। জানা গেছে, কলকতায় এবার বসতে চলেছে উন্নত প্রযুক্তিযুক্ত এয়ার পিউরিফায়ার।

       বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান যেভাবে বাড়ছে তার সম পরিমান অক্সিজেন কিছু বাতাসে মিশছে না। যেহেতু সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তাই অক্সিজেন তৈরী পরিমাণও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। গাছের পাতায় জমা ধুলোর আস্তরণ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় বাধার সৃষ্টি করছে আর এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই অক্সিজেন উৎপাদনের পরিমানও হ্রাস পাচ্ছে। কারণ একমাত্র সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার সময় উদ্ভিদ বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড টেনে নিয়ে বাতাসে অক্সিজেন ছাড়ে। এই পদ্ধতি বাধাপ্রাপ্ত হলে এই সমস্যা হবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই এসব কথা চিন্তা করে কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনের মতো কলকাতার বুকেও বসবে উন্নতমানের এয়ার পিউরিফায়ার। এর সাথে সাথে পাঁচতলা বাড়ির সমান উঁচু গাছের পাতা নির্দিষ্ট দিন অন্তর ধুয়ে ফেলার ব্যবস্থাও করা হবে।

       এছাড়াও রাস্তার ধারে জন্ম নেওয়া অযাচিত আগাছা গুল্মকেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কেটে পরিষ্কার করা হবে। এর জন্য পুজোর সময় ১০টি নতুন গাড়ি আনারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।

শহরের বাতাসকে নির্মল রাখতে এবার দুটি ওয়ার্ড পিছু একটি করে এয়ার পিউরিফায়ার বসানোর কথা ভাবছে পুরসভা। তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের তরফ থেকে এই ব্যাপারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেই দূষণমুক্ত মহানগরী গড়ে তোলা অনেকাংশে সক্ষম হবে। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...