গ্ৰীষ্মের তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচার উপায়

তাপপ্রবাহের জেরে ভিসুভিয়াস শহর। সকাল থেকে রাত নিস্তার নেই কড়া তাতের হাত থেকে। কলকাতা যেন রাতারাতি বদলে গিয়েছে এক মরু শহরে। মাথার উপর জ্বলন্ত সূর্য। পায়ের তলায় পোড়া মাটি। রুক্ষ বাতাসে গরম হাওয়ায় বইছে। শিশু বয়স্করা তো বটেই কমবয়সীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ১০ টা বাজলে রাস্তায় চলা দায়। গরমে ঘামাচি, র‍্যাশ তো চেনা সমস্যা কিন্তু এবার গ্রীষ্মে রোদের তাতে শরীরে ফোসকা দেখা যাচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের আশংকা। কবে বদলাবে জ্বলন্ত শহর আবহাওয়া দফতর জানে না। কারুর কাছেই মেঘের হদিশ নেই। এদিকে সাবধান বানী শোনাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে নিজের সুস্থতা কিছুটা হলেও নিজের হাতে।

কী করবেন না?

সকালের দিকে তাপমাত্রা যখন তুলনামূলকভাবে কম তখনই জরুরী কাজ সেরে ফেলার চেষ্টা করুন। রোদে অযথা ঘোরাঘুরি করবেন না।

জলের বোতল, ছাতা, রোদচশমা ছাড়া বেরবেন না।

বাড়ির জল সঙ্গে রাখুন। যেখান-সেখান থেকে জল, কাটাফল কিনে খাবেন না।প্রচন্ড রোদ থেকে বাড়ি ফিরেই ফ্রিজের ঠান্ডা জল, কোল্ডড্রিংকস এড়িয়ে চলুন।

কী করবেন?   

এখন হিট স্ট্রোক কিংবা অন্য ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে এই সময়‌। তাই এই তাপ প্রবাহ থেকে বাঁচতে ও তীব্র গরমে শরীর সুস্থ রাখতে নির্দিষ্ট সময় মেনে জল পান করুন। হাল্কা রঙের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন। রোদ বেরলে মাথা সব সময় ঢেকে রাখতে হবে।

হাল্কা বা সহজ পাচ্য খাবার খান। মাংস, তেল মশলাজাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভালো। শসা, তরমুজের মতো সরস ফল বেশি খেতে হবে। রোদ থেকে বাড়িতে আসার পর লেবুর জল বা শরবত খান। বারবার স্নান করুন, কিন্তু খেয়াল রাখবেন সর্দিগর্মি যাতে না হয়।

বাইরের চড়া গরম থেকে এসেই এসিতে ঢুকবেন ঢুকবেন না। স্নানে যাবেন না। ঘরের তাপমাত্রায় শরীর স্বাভাবিক হলে তবেই এসি ব্যবহার করুন। 

বাড়িতে পোষ্য থাকলে তাকেও বেশি করে জল খাওয়াতে হবে যাতে সে অসুস্থ না হয়ে পড়ে। ঘর ঠান্ডা রাখতে পর্দা ও খসখসের মতো জিনিস ব্যবহার করতে পারেন।

কিন্তু কোনও ব্যক্তির যদি হিট স্ট্রোক হয় তাহলে তাকে ঠান্ডা ঘরে নিয়ে যেতে হবে ও ভিজে কাপড়ের মাধ্যমে তার সারা শরীর মুছিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও নুন-চিনির জল অথবা ওআরএস খাওয়াতে হবে। তবে জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত অন্য কোনও খাবার দেওয়া যাবে না।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...