In English
আজ কৌশিকী অমাবস্যা। তারাপীঠের মায়ের কাছে ভক্তের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার ভোর চারটে ৩২ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে এই বিশেষ তিথি। সকাল থেকেই তারাপীঠে চলছে পুজো। ভাদ্র মাসের প্রথম অমাবস্যায় কৌশিকী অমাবস্যা হিসেবেই ধরা হয়। ভোরবেলাতে মা তারার শিলামূর্তিকে স্নান করানো হয়, তারপর রাজ বেশে সাজিয়ে বিশেষ মঙ্গল আরতি নিবেদন করা হয়। তারপরেই ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। আজকের এই বিশেষ দিনে ভক্তদের জন্য সারারাত্রি খোলা থাকবে মন্দিরের দ্বার।
তারা মায়ের অপর নাম হল কৌশিকী। তাই সেই নাম থেকেই কৌশিকী অমাবস্যা নামটি এসেছে। কথিত আছে, এই কৌশিকী অমাবস্যার দিনে সাধক বামাক্ষ্যাপা তারাপীঠের মহাশশ্মানে শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় তপস্যা করে সিদ্ধি লাভ করেছিলেন। এদিন ধ্যানমগ্ন বামাক্ষ্যাপা তারা মায়ের আবির্ভাব পান। এছাড়াও আরও এক কথা শোনা যায় যে এই তিথিতে কৌশিকী রূপে মা তারা এই বিশেষ সন্ধিক্ষণে শুম্ভ-নিশুম্ভ নামক অসুরদের দমন করেছিলেন। অনেকে এই রাতকে ‘তারা রাত্রি’-ও বলে।
ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে মন্দির চত্বর। পুলিশের নিরাপত্তায় চত্বরে জোরদার ভাবে করা হয়েছে। তারাপীঠে নিরাপত্তা জন্য এক হাজার পুলিশ কর্মীদের কাজে যুক্ত করা হয়েছে। ভক্তদের ভীড়কে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে পুলিশের পাশাপাশি ১ হাজার ৭০০ সিভিক ভলেন্টিয়ারও রয়েছে। অন্যদিকে আকাশপথ দিয়েও নজরদারি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই জন্য ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে এবংওয়াচ টাওয়ার এবং সিসিটিভিও রাখা হয়েছে।
প্রতিবছর কৌশিকী অমাবস্যায় লক্ষ লক্ষ ভক্তদের ঢল নামে, সেই কারণে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকেও সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দিরে পর্যাপ্ত আলো এবং জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ভক্তরা যাতে লাইনে দাঁড়িয়ে সুস্থ ভাবে পুজো দিতে পারে সেইজন্য মন্দির এলাকায় ব্যারিকেট করা হয়েছে।
অন্যদিকে মন্দির কমিটি থেকে নিরাপত্তা্র জন্য আরও ১৫০ জন নিরাপত্তা কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। এই উপলক্ষে যাতে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় আর ভক্তদের কোনও অসুবিধে না হয়, তার জন্য তারাপীঠ মন্দির কমিটি সেই দিকে জোর দিয়েছে।
