বাংলার লোক শিল্পের এক উজ্জ্বল অঙ্গ হল বহুরূপী শিল্প। বাংলার এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে বীরভূমের বহুরূপী সম্প্রদায়। এই শিল্পীদের নিয়েই একটি নাটক উপস্থাপনা করেছেন অনন্যা পাল। তাঁর পরিচালনায় এই নাটকে অভিনয় করেছেন ধনেশ্বর দাস বৈরাগ্য, সুবল দাস বৈরাগ্য, রাজীব বাজিকর, প্রণব বাজিকর ও সুজিত বাজিকর। নাটকের গল্পও লিখেছেন অনন্যা পাল। নাটকের গল্প মধ্যযুগীয় বাংলা ভাষার আঙ্গিকে পদাবলীর ছন্দে লেখা। 'মনসামঙ্গল' কাব্যের কাহিনির মনসাকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখানো হয়েছে। সমাজে নারীর অবস্থানটি ঠিক কোন স্তরে সেই বিষয়টিকেই উপস্থাপিত করেছেন তিনি। 'মনসামঙ্গল' কাব্যের মনসার থেকে তাই 'মনসা কথা'র মনসা অনেকটাই আলাদা।
নাটক সম্পর্কে অনন্যা পাল বলেছেন, "অনেক দিন ধরেই ইচ্ছা ছিল বাংলার লোক শিল্পীদের নিয়ে কাজ করার। তখন বহুরূপী শিল্পীদের কথা মাথায় আসে। সেভাবেই চিত্রনাট্য লেখা। অতিমারীতে লোকশিল্পীদের সংকটের দিকটিও ছিল ভাবনায়।”
আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবসে ডিজিটাল প্লাটফর্মে মুক্তি পেল এই নাটক। নাটকে ভাষ্যপাঠ করেছেন শুভ কুন্ডু ও গানে সঙ্ঘমিত্রা বন্দোপাধ্যায়।