অবাক পৃথ্বী

তাঁকে বলা হয় ‘পায়োনিয়র অফ ইন্ডিয়ান থিয়েটার’। কিন্তু সাধারণ সিনেমাপ্রেমীদের কাছে আজও তিনি ‘আকবর’। পৃথ্বীরাজ কাপুর।

জন্ম অধুনা #পাকিস্তানের #পেশোয়ারে। প্রথম নাম ‘পৃথ্বীনাথ কাপুর’। বাবা বাসেশ্বরনাথ কাপুর ইন্ডিয়ান ইম্পিরিয়ল পুলিশের অফিসার। পরিবারের কেউ কখনও মঞ্চ জীবনের আলোকে গায়ে মাখবে বলে ভাবেনি।

পেশোয়ারের লায়লাপুরে থিয়েটারের মঞ্চে অভিনয় জীবনের শুরু।

১৯২৮-এ ভাগ্যের খোঁজে বোম্বাই চলে আসেন। সেই টাকা ধার নিয়েছিলেন আত্মীয়ের কাছ থেকে। চাকরি নেন ইম্পিরিয়াল ফিল্মস কোম্পানীতে। পর্দায় ‘এক্সট্রা’।

অভিনেতা হিসেবে ছোট-ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে লাগলেন। প্রথম বড় ব্রেক ১৯২৯-এ।  ছবির নাম ‘#সিনেমাগার্ল’। পর্দার দুনিয়ায় যখন তিনি পথ চলা শুরু করেন তখন ভারতীয় ছবি কথা বলতে শেখেনি।

সিনেমায় নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। কিন্তু নাটক ছিল প্রাণ।

 ১৯৪৬-এ প্রতিষ্ঠা করলেন #পৃথ্বী থিয়েটার। এই সময়ের পৃথ্বী থিয়েটারের সঙ্গে সেই সময়ের পৃথ্বী থিয়েটারের বিশেষ মিল পাওয়া যাবে না। তখন পৃথ্বী থিয়েটার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে নাটক করত। নাটককে শক্তিশালী করে তুলতে নিজের সব কিছু লাগিয়ে দিয়েছিলেন বাজিতে। পৃথ্বী থিয়েটার প্রতিষ্ঠার কারণই ছিল মঞ্চ প্রযোজনার গুরুত্ব বাড়ানো।

#গান্ধীজীর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়  এই মঞ্চে দেশাত্মবোধক নাটক অভিনীত হত। তরুণ প্রজন্ম যাতে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে সেই প্রচেষ্টাই থাকত প্রতিটি প্রযোজনায়।

তাঁর নিজের পরিবারও হয়ে উঠেছিল আদর্শ অভিনয় পরিবার। পুত্র রাজ কাপুরের প্রযোজনায় অভিনয় করেছেন। পৌত্রদের সঙ্গেও স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘আওয়ারা’, ‘কাল আজ অঔর কাল’ ছবিতে। কণ্ঠের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। এক সময় সেই কণ্ঠই হারিয়ে যায়। মঞ্চ থকে বিদায় নেন অভিনেতা। তবে ভারতীয় থিয়েটারের একচ্ছত্র সম্রাটের তাজখানা এখনও তাঁর শিরেই। ইতিহাস সেই কথাই বলে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...